ভালবেসে বিয়ে, অতঃপর রহস্যজনক মৃত্যু 

  • বরগুনা প্রতিনিধি  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৫, ০৬:১৬ পিএম

বরগুনা: ভালবেসে বিয়ের পর নুসরাত বেগম (১৭) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।

শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মহত্যা করার কথা বললেও নিহতের স্বজনদের দাবি পরিকল্পনা করে নুসরাতকে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ঘটনার পর থেকে গাঢাকা দিয়েছে নুসরাতের স্বামী। 

বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনা চান্দখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টরকে জানালে সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। 

নুসরাত বেগম চান্দখালী এলাকার মো. বাবু খানের স্ত্রী। তার বাবার নাম শামীম খান। পেশায় এসি মেকানিক। নুসরাত জামালপুর জেলার তিতপাল্লা ইউনিয়নের মাগুরীপাড়ার দিনমজুর দুলাল উদ্দিনের মেয়ে। 

নুসরাতের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, সে এলাকার নারকেলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। পরিবারের অস্বচ্ছলতা থাকায় নুসরাতের বড় ভাই ঢাকার সাভারে একটি গার্মেন্টসে কাজের ব্যবস্থা করে দেয়। ভাইও সেখানে গার্মেন্টসে কাজ করে। গত ৩ আগস্ট পরিচয় হয় স্বামী বাবু খানের সঙ্গে।

[249814] 

পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। চাকরিতে যোগ দেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ধরে তারা বরগুনার চান্দখালী বাবু খানের বাড়িতে চলে আসে নুসরাত। প্রথমে বাবু খানের বাবা মা বিয়েতে মত না দিলেও বাবু খানের দাদা গত ১৮ আগস্ট হুজুর ডেকে এনে বিয়ে পড়িয়ে দেন। 

বিয়ের পর তারা নুসরাতের বাড়িতে গেলে জামাই হিসেবে বাবু খানকে মেনে নেন। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই বাবু চাকরি না করে বেকার থাকতো। ফলে বিভিন্ন সময় সাহায্য সহযোগিতা করতো বাবু খানকে।

গত সোমবার ২০ মে নুসরাত তার স্বামীর সঙ্গে গ্রামের বাড়ি চান্দখালী আসে। সেখানে আসার ৩ দিন পর গতকাল বিকেলে এই ঘটনা ঘটে বলে জানান চান্দখালী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন। 

তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ঝুলে আছে এবং নুসরাতকে খাটের ওপর শোয়ানো। তাদের যাওয়ার আগেই নুসরাতের মরদেহ নামিয়ে রাখে। পরে নুসরাতের মরদেহ উদ্ধার করি। আজ সকালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। নুসরাতের মৃত্যুর ব্যাপারে অভিযোগ দেয়া হলে মামলা গ্রহণ করবে বেতাগী থানা পুলিশ। 
 
এআর