নেত্রকোনা: দিন যতই যাচ্ছে ঈদুল আজহা কড়া নাড়ছে দুয়ারে। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। নিজেদের পালিত পশুগুলোকে শেষবারের মতো খাইয়ে-যত্ন করে প্রস্তুত করছেন।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারা দেশের পশু বিক্রি ও কেনার অপেক্ষায় ক্রেতারা বিক্রেতারা, ঠিক তখনই নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ‘জমিদার’ নামক একটি বিশাল ষাঁড়।জানা গেছে, জমিদারের ওজন প্রায় ২৫ মণ। এই ঈদে ‘জমিদার’এর দাম হাঁকা হয়েছে ৭ লাখ টাকা।
পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের জামুদ গ্রামের হাজ্বী মোঃ আঃ হেকিম ষাঁড়টি ৫ বছর যাবত লালন-পালন করে আসছেন। তিনি একজন সৌখিন খামারি। তার খামারে ‘জমিদার’ ছাড়াও আরো ৮ টি দেশীয় জাতের ষাঁড় ও গাভী রয়েছে। সেগুলোকেও কোরবানির হাঁটে তোলার সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন তিনি।
হাজ্বী মোঃ আঃ হেকিম জানান, উনার খামারের সবচেয়ে বয়স্ক ও প্রিয় ষাঁড়টিই হচ্ছে ‘জমিদার’। ষাড়টি শুধু ওজনেই নয়, গায়ের রং, জাত ও দৃষ্টিনন্দন গড়নে সকলের মন কাড়বে। ৫ বছর বয়সী ৬ দাঁতের শাহীওয়াল জাতের এই ষাঁড়টির গায়ে কালো-বাদামী মিশ্র রঙের প্রলেপ ও মাথায় রয়েছে হালকা সাদা রঙের জমিদারি মুকুট। মূলত এজন্যই তার নাম ‘জমিদার’ রাখা হয়েছে। গরুটিকে কোনো ইনজেকশন বা কৃত্রিম মোটাতাজাকরণে পরিপুষ্ট করা হয়নি। প্রতিদিন প্রায় ১৫ কেজি দেশীয় ঘাস, খৈল, ভূষি ও ভুট্টা জাতীয় খাদ্য খাওয়ানো হয় তাকে। এতে দৈনিক খরচ হয় গড়ে ১ হাজার টাকার মতো। গত বছরও কোরবানির হাটে গরুটি তোলা হয়েছিল। তবে প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় সেবার বিক্রি করেননি।
স্থানীয়রা বলছেন, আমাদের আশে-পাশে এমন গরু খুব একটা দেখা যায় না। গরুটি সবার নজর কেড়েছে। ক্রেতারা এক দেখাতেই পছন্দ করতে বাধ্য হবেন। তাছাড়া এই গরু বাজারে নিলে সবাই দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বে। প্রতিদিন গরুটি দেখতে আসছেন উৎসুক জনতা, কেউ কেউ আগ্রহ দেখিয়েছেন কেনার ব্যাপারেও।
আইএ