পিরোজপুর: ইন্দুরকানীতে কোরবানির পশুরহাটে ধস নেমেছে। বাজারে ক্রেতা থাকলেও বেচাবিক্রি খুবই কম। তবে বিগত বছরগুলোর মত হাটে পশুর উপস্থিতিও অনেক কম।
প্রায় ৩ শত গরু ও ২ শত ছাগল উঠেছে এই বাজারে। সোমবার (০২ জুন) দুপুরে উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর বাজার ইন্দুরকানী সরকারি কলেজ মাঠে এ চিত্র দেখা যায়।
উপজেলার সবচেয়ে বড় বাজার ইন্দুরকানী সরকারি কলেজ মাঠে কোরবানীর পশুরহাটে ক্রেতাদের ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও পশু বিক্রি খুবই কম হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে স্থানীয় খামারি ও ব্যাপারীগণ হাটে কোরবানীর পশু নিয়ে আসেন। তবে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবছর কোরবানির পশুর উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
[250376 ]
ক্রেতারা বলছেন গত বছরের চেয়ে এবছর কোরবানীর পশুর দাম অনেক বেশি। খামারি ও ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশু বিক্রি করতে না পেরে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।
সেউতিবাড়ীয়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ী মো. ইয়াছিন হাওলাদার জানান, আমি ২২টি গরু হাটে এনেছি কিন্তু মাত্র ৩টি গরু বিক্রি করতে পেরেছি। বাজারে ক্রেতা থাকলেও গরু কিনছে না। অনেকে দেখতে আসে, আগামী শুক্রবার বাজারের দিন কিনবে হয়তো।
ইন্দুরকানী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুল হালিম বলেন, কোরবানির জন্য পশুর বাজারে এসে ক্রয় করার জন্য কয়েকটি বড়ো গরু দেখেছি। পরে বাজারের সব থেকে বড়ো গরুটি ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দরে ক্রয় করেছি।
পশুরহাটের ইজারাদার কেএম শামীম বলেন, কোরবানির পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা নেওয়া হবে এমন তথ্য কিছু মানুষ ছড়ানোর ফলে বাজারে পশুর উপস্থিতি কম। তাই বেচাবিক্রি খুবই কম হয়েছে। আশা করি সামনের বাজারে গরু-ছাগল ক্রেতা ও বিক্রেতার উপস্থিতি বাড়বে।
এআর