৫৭ টাকার পাস ২৩০ টাকা: চট্টগ্রাম বন্দরে অচল ট্রেইলার পরিবহন

  • চট্টগ্রাম প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৫, ১২:৪১ পিএম

চট্টগ্রাম বন্দরে ভারী যানবাহন প্রবেশের ফি ৫৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩০ টাকা করায় কনটেইনার পরিবহন কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। নতুন মাশুল কার্যকর হওয়ার পর থেকে ব্যক্তিমালিকানাধীন ট্রেইলার মালিকেরা গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছেন।

গত ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন এই মাশুল কার্যকর হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এতে বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও বিভিন্ন অফডক বা ডিপোর ট্রেইলার এখনো চলাচল করছে।

চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন জানান, এটি কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মবিরতি বা ধর্মঘট নয়। ৫৭ টাকার পাস হঠাৎ করে ২৩০ টাকা করা হয়েছে, এ কারণে মালিকেরা আপাতত গাড়ি চালাচ্ছেন না। তিনি বলেন, “এই অতিরিক্ত খরচ শ্রমিক দেবেন, নাকি মালিক দেবেন, সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তাই শনিবার সকাল থেকে বন্দরে কোনো পরিবহন প্রবেশ করবে না।”

তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রাম থেকে ভারী যানবাহন যখন ঢাকা বা অন্যান্য গন্তব্যে যায়, তখন আমাদের নির্দিষ্ট লাইন খরচ থাকে। তেলের দাম বাড়লে তা রিভাইস করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা বন্দরের পরিচালকের (নিরাপত্তা) সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি, চেয়ারম্যান ঢাকা থেকে ফিরে এলে পুনরায় আলোচনা হবে।”

সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ১৪ অক্টোবর রাত থেকেই তাদের ট্রেইলার চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, “প্রাইম মুভার মালিকদের ট্রেইলার মূলত আন্তজেলা রুটে চলে। অন্যদিকে ডিপোর ট্রেইলারগুলো বন্দর থেকে ডিপোতে কনটেইনার আনা–নেওয়া করে। প্রাইম মুভার মালিকেরা গাড়ি না চালানোর কারণে কিছু এলাকায় ডিপোর ট্রেইলার চলাচলও বিঘ্নিত হচ্ছে।”

মো. সেলিম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, “বন্দরের এই অচলাবস্থার কারণে আমরা পণ্য তুলতে পারছি না। ফলে মালামাল পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে, এতে আমাদের অতিরিক্ত খরচ পড়ছে। দ্রুত সমাধান না হলে আমদানিকারক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।”

এম