পুশইনের শিকার ভারতীয় গর্ভবতী নারীসহ ৬ জনকে জামিন

  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ১০:২২ এএম

ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক পুশ-ইন হয়ে বাংলাদশে আসার পর কারাবন্দী গর্ভবতী ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনসহ ৬ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত। সোমবার (০১ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে উনি জেল গেইটে উনার জামিনদারের অপেক্ষায় আছেন। জামিনদার এলেই আনুষ্ঠানিকভাবে কারাগার থেকে ছাড়া পাবেন। ফারুক হোসেন নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি সোনালী খাতুনের জামিনদার হয়েছেন। সম্পর্কে তিনি সোনালী খাতুনের আত্মীয়।

সোনালী খাতুনের সঙ্গে পুশ-ইনের শিকার হয়ে কারাবন্দী অন্য পাঁচজনকেও জামিন দেয়া হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে হাজিরা দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় তারা এখনই ভারতে ফেরত যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন।

এদিকে, 'পুশইন' করে বাংলাদেশে পাঠানো গর্ভবতী নারী সোনালী খাতুনসহ অন্য সবাইকে ভারতে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য সোমবার আবারও কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সোনালী খাতুনসহ ছয়জনকে কোনো ধরনের চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই ছাড়াই বাংলাদেশে 'পুশইন' করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, যে ছয়জন এখন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কারাগারে আটক রয়েছেন, তাদের মধ্যে দুটি পরিবারের সদস্য রয়েছেন। সোনালী খাতুন, তার স্বামী দানেশ শেখ ও তাদের ছেলে সাবির শেখ পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার পাইকর থানার বাসিন্দা।

অন্য পরিবারটির বাড়ি বীরভূমেরই মুরারই থানা অঞ্চলের ধিতোরা গ্রামে। সেই পরিবারের এক নারী সুইটি বিবি ও দুই ছেলে, ১৬ বছর বয়সী কুরবান শেখ ও ছয় বছরের ইমাম শেখও চাঁপাই নবাবগঞ্জের জেলে আটক রয়েছেন।

তাদের সবাইকে পশ্চিম দিল্লির রোহিনী এলাকার কেএন কাটজু মার্গ থানা 'বাংলাদেশি' সন্দেহে আটক করে। এরপর তাদের পশ্চিম দিল্লির ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের সামনে হাজির করানো হয়। ওই দফতরটি বিদেশি ট্রাইব্যুনালের মতো কাজ করে থাকে। সেখান থেকে রায় দেয়া হয় যে, তারা সকলেই বাংলাদেশি এবং তাদের ঠিকানা বাগেরহাট জেলায়। তবে বীরভূমের পুলিশ একাধিক নথি যোগাড় করে নিশ্চিত হয়েছে  তারা সবাই ভারতীয়।

এম