বিদ্রোহীরাই দলে ওজনধারী!

  • রাজশাহী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০১৬, ০৩:৫৫ পিএম

রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে তিনজন আওয়ামী লীগ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দল থেকে বর্তমান প্রশাসক মাহবুব জামান ভুলুকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী সরকার ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। কারণ বিদ্রোহী হিসেবে যারা মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন তারা স্থানীয় পর্যায়ের ওজনধারী নেতা।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহীতে মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ১৭১। এর মধ্যে পুরুষ ভোটে ৮৯৬ ও নারী ভোটার ২৭৫। আর ভোটকেন্দ্র ১৫টি। বাছাই ৩ ও ৪ ডিসেম্বর এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১১ ডিসেম্বর বলে জানান সহকারি রিটার্নিং অফিসার।

এদিকে, জেলা পরিষদের প্রথম এ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সরব হলে উঠলেও এখনো সাড়া নেই অন্য দলগুলোর মধ্যে। ফলে অন্যদলগুলো নির্বাচনে না আসলে নিজের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হতে পারে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ও সদস্য পদের দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেও ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের এক ভোটার জানান, আওয়ামী লীগ দল থেকে যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তাকেই সবার সমর্থন দেয়া প্রয়োজন। কিন্তু অপর যে দুইজন আওয়ামী লীগ নেতা বিদ্রোহী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন তারাও শক্তিশালী নেতা। এ জন্য এবারে ভোটের হিসাব-নিকাশে কিছুটা উল্টো হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।

প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী সরকার ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জেলা পরিষদ নির্বাচনের মাঠে আছেন। নেতা হিসেবে দলীয় প্রার্থী মাহাবুব জামান ভুলুর চেয়েও বিদ্রোহী দুইজন সুপরিচিত। তবে, জেতার বিষয়ে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী সমান আশাবাদী।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, চেয়ারম্যান ও সদস্য পদের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী দলের কেন্দ্রে থেকে ঘোষণা করা হয়।

আসাদুজ্জামান আরও বলেন, অন্যদল থেকে প্রার্থী হলে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে অন্যকোন দলের প্রার্থী না থাকলে সে বিষয়ে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর