এমপি লিটনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

  • গাইবান্ধা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০১৭, ১২:০৬ পিএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ফুসফুস লিভার ও পেটে প্রচুর পরিমাণ জমাটবাঁধা রক্ত পেয়েছে ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা। উদ্ধার করা হয়েছে ১টি গুলি। বুকে ও হাতে রয়েছে ৫টি গুলির চিহ্ন।

রোববার (১ জানুয়ারি) সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ময়নাতদন্ত শেষে এই তথ্য জানান রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনিমেষ মজুমদার।

সকাল ৯টায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিমঘর থেকে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় মর্গে। সেখানে রংপুর মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. নারায়ন চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে ডা. খায়রুল ইসলাম ও ডা. রেজাউল করিম তার ময়নাতদন্ত করেন।

এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনিমেষ মজুমদার জানান, এমপি লিটনের বুকে তিনটি এবং হাতে দুটি গুলি করা হয়েছিল। বুকের সামনের দিক থেকে দুইটি এবং পেছন দিক থেকে একটি গুলি করা হয়। তার শরীর থেকে একটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তার ফুসফুস লিভার, পেটে প্রচুর পরিমাণ জমাটবাঁধা রক্ত পাওয়া গেছে।

ময়নাতদন্তের পর তার লাশ নামাজে জানাযার জন্য পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

ময়নাতদন্তের সময় মর্গের সামনে ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, এসপি মিজানুর রহমান, কোতয়ালী থানার ওসি জাহিদুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে করে ৩ যুবক দেখা করার কথা বলে এমপি লিটনের সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের শাহবাজ গ্রামের নিজ বাড়িতে প্রবেশ করে।  এ সময় তিন যুবকের দুজন এমপির সঙ্গে দেখা করতে যায় এবং এক যুবক মোটরসাইকেলে থাকে। এর কিছুক্ষণ পর ওই দুই যুবক এমপিকে লক্ষ্য করে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি করে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। এমপিকে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের নিয়ে গেলে ডাক্তাররা দ্রুত তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ