নানা সমস্যায় জর্জরিত অলংকারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়

  • রাজবাড়ী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০১৭, ০৭:০৮ পিএম

রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার অলংকারপুর মাধ্যামিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে শ্রেণী কক্ষ সংকটসহ নানা সমস্যা বিরাজ করছে। ফলে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা জানায়, শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে জরুরিভাবে নতুন ভবন নির্মাণসহ সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন।

বিদ্যালয়টির অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৩ সালে বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের গড়াই নদীর ধারে নৈসর্গীক পরিবেশে এক একর সাত শতাংশ জমির উপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১২ জন শিক্ষক রয়েছেন। আর শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চার শতাধিক। বিদ্যালয়টির লেখাপড়ার মানও ভালো। ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার সন্তোষ জনক। ২০১৫ সালে জেএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ছিল প্রায় শতভাগ।

সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা চলছিল। শ্রেণি কক্ষ সংকটের কারণে এক রুমে গাদাগাদি করে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে। এক বেঞ্চে ৪ জন করে বসেছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া কক্ষের অভাবে পলিথিন দিয়ে আগলিয়ে রাখা টিনশেড মাটির ঘরে কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে।

বিদ্যালয়টিতে মোট পাঁচটি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে একটি অফিস কক্ষ। যেখানে প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য সহকারি শিক্ষকরা বসেন। আর চারটি কক্ষে পাঠদান করা হয়। তবে সবগুলো শ্রেণিতে পাঠদান চললে দশটি শ্রেণি কক্ষের প্রয়োজন। শ্রেণি কক্ষের অভাবে অনেক ক্লাস বিদ্যালয়ের সামনে মাঠের মধ্যে নেয়া হয়। বিশেষ করে হিন্দু ধর্ম, নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ক্লাসগুলো খোলা মাঠে হয়।

বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সাব্বির হোসেন জানান, আমাদের স্কুলে শ্রেণি কক্ষে বর্ষাকালে বৃষ্টি পরে আর রোদ উঠলে গায়ে রোদ লাগে। এভাবেই ষষ্ঠ থেকে দশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে এসেছি।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুল আলম জানান, আমাদের বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষের সংকট রয়েছে। এ জন্য পাঠদানও ব্যহত হয়। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবগত করা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, অলংকারপুর মাধ্যামিক বিদ্যালয়ে একাধিক সমস্যা রয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর