দুই ছাত্রের দ্বন্দ্বে সিংড়ায় শিক্ষককে মারধর

  • নাটোর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০১৭, ০২:১৮ পিএম

নাটোর : সিংড়া উপজেলার কৈগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীর দুই ছাত্রের দ্বন্দ্বের কথা শুনে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে এক শিক্ষককে পিটিয়েছে অভিভাবক ও তার পরিবারের অপর দুই সদস্য। এ সময় শিক্ষককে খুন করার মানসে চাপাতি নিয়ে আক্রমণ করতে উদ্যত হলে অন্যদের সহায়তায় প্রাণে বেঁচে যান ভুক্তভোগী সেই শিক্ষক। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করার ৪ দিন পরও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

শিক্ষক মুনজুরুল ইসলাম জানান, গত রোববার দুপুরের দিকে তৃতীয় শ্রেণির প্রথম পিরিয়ড শেষে এক শিক্ষক শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হওয়ার পর তিনি দ্বিতীয় পিরিয়ডে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেন। দ্বিতীয় পিরিয়ড শুরুর আগেই স্থানীয় মামুনের ছেলে একই শ্রেণির অপর এক ছাত্রের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়। এ সময় উভয় উভয়কে চর-থাপ্পর মারার সময় অপর এক ছাত্র মামুনদের খবর দেয়। স্কুল পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা মামুন বিষয়টি শোনার পর তার ছোটভাই মানিক ও বাবা আলতাফকে নিয়ে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষক (মুনজুরুল) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের এক পর্যায়ে তিনজনে মিলে মারপিট করে। এক পর্যায়ে মানিক বাড়ি থেকে চাপাতি এনে তাকে আক্রমণ করতে উদ্যত হলে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক ও স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি বেঁচে যান। এ বিষয়ে তিনি ইউএনও’র মাধ্যমে থানায় অভিযোগ দায়ের করার দুইদিন পরও কোন প্রতিকার পাননি।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুল জব্বার দাবি করেন, বিষয়টি জানার পর ওই দিন বিকেলেই তিনি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তরা কেউ উপস্থিত না হওয়ায় মিমাংসা করা যায়নি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিন জানান, অভিযোগ দায়েরের পর ওইদিন পুলিশ একবার ঘটনাস্থলে গেলেও এখন পর্যন্ত কেউ আটক বা ঘটনার কোন সুরাহা হয়নি। ভুক্তভোগী শিক্ষক মুনজুরুল ইসলাম মাথায় জখম নিয়ে ভারাক্রান্তভাবে ক্লাস নিচ্ছেন। দুইদিন পরও বিষয়টির কোন সুরাহা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে যোগাযোগ করা হলে সিংড়া থানার ওসি নাসির উদ্দিন মন্ডল জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর