এমপি মোসলেমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী মামলা

  • ময়মনসিংহ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০১৭, ০৪:৩৪ পিএম

ময়মনসিংহ : একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ময়মনসিংহের সরকারদলীয় এক সংসদ সদস্যসহ ১৬ জনের নামে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করেছেন এক মুক্তিযোদ্ধা। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টার দিকে ময়মনসিংহের ২নং আমলী আদালতে (ফুলবাড়িয়া) এই মামলাটি দায়ের করা হয়। ফুলবাড়িয়া থেকে নির্বাচিত বর্তমান সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিনসহ ১৬ জনের নামে করা মামলার বাদী হয়েছেন ফুলবাড়িয়ার মুক্তিযোদ্ধা মো. জালাল উদ্দিন। মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী ফজলুল হক দুলাল বলেন, আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক যুদ্ধপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী জালাল উদ্দিন আসামিদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।

মামলার অনান্য আসামিরা হলেন- ফয়জুল বারী, সামাদ মাস্টার, আব্দুল মন্ডল, মফিজ উদ্দিন, রিয়াজ উদ্দিন, মুকছেদ আলী, এবাদুল্লাহ, মুকসেদ আলী, ওয়াহেদ আলী মুনসী, ছোহরাব আলী, আবুল হোসেন, মুছা, আব্দুল হালিম, কুদ্দুস, গিয়াসউদ্দিনসহ অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জন।

স্বাক্ষীরা হলেন, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, সাবেক এমপিএ খন্দকার আব্দুল মালেক, সাবেক এমএনএ আনম নজরুল ইসলাম সাবেক এমএনএ মো জুবেদ আলী, বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, ফুরবাড়িয়া আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক সরকার, অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাকসহ ২৪ জন। মামলার আবেদন অনুযায়ী এক মহিলাকের ধর্ষণের পর হত্যা ও ২৫ জন পুরুষসহ ২৬ জনকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার আবেদনে বলা হয়, ৭১-এর ২৭ জুন আসামীগণ ৩৩ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের সদস্যসহ জোড়বাড়িয়া গ্রামে বাদীর বাড়িতে লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ, মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক, রাজ্জাক, ছালাম, মান্নান, ভালকুজানের পালবাড়ি ঋষিবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মালেকা খাতুনকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। ২০ জুন কৈয়েরচালা গ্রামের বসু চৌধুরী, ১২ জুন মুক্তিযোদ্ধা মজিদসহ ৮ জন ঋষিকে হত্যা ও মহিলাদের ধর্ষণ করে । ২৯ নভেম্বর তালেব আলী, সেকান্দর আলী, আলতাব আলীকেও হত্যা করে আসামিরা। ১০ নভেম্বর আছিম এলাকার আছিম উদ্দিন মোল্লা, ইসমাইল মাস্টার, আব্দুল কাদের, আ. করিম. আ. রশিদ, নায়েব আলীসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করে ভালুকজান বধ্যভূমিতে ফেলে দেয় । ১৪ জুলাই শহীদুল্লাহ মাস্টার, ও ছাবেদ আলীকে হত্যা করা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর