ভারতে তরুণী পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

  • নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০১৭, ০৬:২৮ পিএম

নারায়ণগঞ্জ : ফতুল্লায় ভাল কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ময়না বেগম (২২) নামে এক তরুণীকে ভারতের একটি পতিতালয়ে পাচার করার অভিযোগে রেজাউল (৪০) নামে এক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে ফতুল্লার তল্লা চেয়ারম্যান রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নারী পাচারকারী রেজাউলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রেজাউল খুলনার পাইকগাছার চরলতিয়ার শাহজাহান আলীর ছেলে। সে পরিবার নিয়ে তল্লা এলাকায় বসবাস করে। এর আগে রোববার রাতে শহরের ২নং বাবুলাই এলাকার ময়নার ধর্মের ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রেজাউল ও তার স্ত্রী সাদিয়া বেগমসহ ৭ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।

মামলার তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান মামলার বরাত দিয়ে জানান, কুমিল্লার মতলব থানার তাফালিং বাজার এলাকার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ময়না বেগম। তার সাথে রেজাউলের স্ত্রীর পূর্ব সম্পর্কের জের ধরে তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। ময়নার পারিবারিক অশান্তির কারণে তাকে রেজাউলসহ অন্য আসামিরা অর্থের উপার্জন দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে গত বছরের ২৫ জুন রেজাউলসহ কয়েকজন মিলে যশোর জেলার নড়াইলের রাজিব নামে এক পাচারকারী চক্রের সদস্যের কাছে হস্তান্তর করে।

পরে রাজিব যশোর বর্ডার দিয়ে ভারতের একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। গত ২৫ আগস্ট ময়না ভারতের পতিতালয় হতে বাংলাদেশে তার ধর্মের ভাই বাবু সারোয়ার ও রফিকুল ইসলামের কাছে ফোন করে পাচারের বিষয়টি জানায়। এরপর রফিকুল ইসলাম ও বাবু সারোয়ার পাচারকারীদের চাপ সৃষ্টি করলে ময়না বেগমকে ভারতে পতিতালয়ে বিক্রির কথা জানায়। আর বিষয়টি নিয়ে মামলা করলে ময়নাকে ভারত থেকে এনে দিবে না এমন হুমকিও দেয়া হয়। ময়না বেগমকে ভারতে পাচার করে দেয়ার অভিযোগে নারী শিশু আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশকে মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দেন। মামলার ২নং আসামি রেজাউলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান জানান, যশোর নড়াইলের উজ্জল চেয়ারম্যানের ভাগ্নে রাজিবকে গ্রেপ্তার করতে পারলে ময়না বেগমের পাচারের আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে। রেজাউলকে দিয়ে অন্য আসামিদের শনাক্তসহ গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর