ডাস্টবিন থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার

  • সাভার প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭, ০২:১৫ পিএম

সাভার:  জন্মের পরই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হলো এক নবজাতককে। মায়ের উষ্ণ কোলের বদলে তার ঠাই হলো ডাস্টবিনে। মৃত্যু কামড়ে খেয়ে নিলো নরম তুলতুলে শরীর। এবার সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সিটি সেন্টারের সামনে ডাস্টবিন থেকে ওই নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই ডাস্টবিনে কার্টনের মধ্যে নবজাতকের মরদেহটি পাওয়া যায়।

স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ ডাস্টবিনকে ঘিরে কৌতুহলী জনতার জটলা তৈরি হয়। ভিড় ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকলে কাছে গিয়ে দেখা যায়, এর ভেতরে বিস্কুটের কার্টনের মধ্যে একটি নবজাতকের মরদেহ।

এদিকে বিষয়টি দেখে কৌতুহলী লোকজন কেউ ছবি তুলছেন, কেউ পাশ থেকে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। কেউবা আবার নবজাতটির মাকে পাষান, ডাইনি, হতভাগী; কেউবা চরিত্র নিয়ে মন্তব্যও বাদ দিচ্ছেন না।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দেওয়া তথ্য মতে, মাসে অন্তত সাত-আটটি নবজাতকের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। তাদের বেশির ভাগ কন্যাসন্তান।

আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের দেওয়া তথ্য মতে, বছরে গড়ে রাজধানীতে ১০০ পরিচয়হীন নবজাতকের লাশ দাফন করা হয়। ময়নাতদন্তের পর এর অধিকাংশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে দেয়া হয়।

অনেককে জন্মের পরপরই ডাস্টবিনে, জঙ্গলে, ময়লার স্তূপে, হাসপাতালের আঙিনায়, বাস ও রেলস্টেশনের পাশে ফেলে রাখা হয়। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে কোনো নারী সন্তানসম্ভবা হলে লোকলজ্জার কারণে গর্ভপাত ঘটানো হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে কোনো নারী সন্তানসম্ভবা হলে ভ্রূণ হত্যা করে।

নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেক পুরুষ দৈহিক সম্পর্কে জড়ান। ওই নারী সন্তানসম্ভবা হলে তাকে মেনে নেন না বা অনেকে পালিয়ে যান। পরে বাধ্য হয়ে ওই নারীকে গর্ভপাত ঘটাতে হয়। নবজাতক কন্যা হলে তাকে হত্যা করার ঘটনা ঘটছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ