ফরিদপুর: জেলার নগরকান্দা পৌর এলাকায় তুচ্ছ ঘঠনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় অন্তত ২০টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলা সদরের এম এন একাডেমির দুই ছাত্রের মধ্যে বুধবার (১৯ এপ্রিল) কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) নগরকান্দা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাত নাম্বার ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের চাচাতো ভাই ছাগলদী গ্রামের সুরুজ মাতুব্বরের বিরোধ দেখা দেয়।
ওই ঘটনার সূত্র ধরে শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের বেইলি সেতু (ছাগলদী মোড়) এলাকায় দুই পক্ষের লোকজন ঢাল, সড়কি, বল্লম, ভেলা, রামদা, লাঠি, ইট নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। তাদরে মধ্যে ২৩ জনকে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং গুরুত্বর আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৩৯টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের ১৬৫টি গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, নগরকান্দা থানার পুলিশ ছাড়াও ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশের সহায়তায় লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়ে দুপুর দেড়টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এছাড়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এসময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকেই থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম