ধান কাটা শ্রমিক সংকটে ঝালকাঠির কৃষক

  • মো. আমিনুল ইসলাম, ঝালকাঠি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৯, ২০১৭, ০২:৪৫ পিএম

ঝালকাঠি: বোরো মৌসুমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। জেলার প্রধানত ৩টি উপজেলা ঝালকাঠি সদর, কাঁঠালিয়া ও নলছিটির বোরো প্রধান এলাকায় চাষিরা এখন ধান কাটার এ সময় শ্রমিক সংকটে পড়েছে। শ্রমিক সংকটে পাকা ধান ক্ষেতেই পেকে ঝরে যাচ্ছে।

ঝালকাঠি জেলায় এবছর ৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরও ধানের বাজার ভাল থাকায় বোরো চাষিরা লাভের স্বপ্ন দেখছিলো।

কিন্তু চাষিরা দৈনিক ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা মজুরি দিয়েও কৃষি শ্রমিক পাচ্ছে না। আর এ কারণে মাঠের ধান মাঠেই ঝরে গিয়ে উৎপাদন হারাচ্ছে চাষিরা।

কৃষি বিভাগ দাবি করেছে আগামীতে পদ্মা সেতু নির্মাণ হলে দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে ঝালকাঠি জেলায়ও বিভিন্ন এলাকায় মিল কারখানা গড়ে উঠবে। তখন কৃষি শ্রমিক সংকট আরও বড় আকার ধারণ করবে।

আর কৃষি বিভাগ সেই দিক বিবেচনা করে কৃষকদের দলবদ্ধ করে চাষাবাদকে যান্ত্রিকতার আওতায় আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই কৃষকদের উপস্থিতিতে কম্বাইন্ড হারবেষ্টার, ডিপার মেশিন- এই যন্ত্রগুলি দিয়ে কৃষকের মাঠের ধান কর্তন করে মাঠ দিবস করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যন্ত্রের উপকারিতা ও অর্থ নৈতিক সাশ্রয় বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে।

আনইলবুনিয়া গ্রামের কৃষক হাচান মিয়া বলেন, এবছর বোরো আবাদ ভালো হয়েছে কিন্তু দৈনিক ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা মজুরি দিয়েও কৃষি শ্রমিক পাচ্ছি না। আর এ কারণে মাঠের ধান মাঠে ঝরে গিয়ে উৎপাদন হারাচ্ছি।

ঝালকাঠি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক শেখ আবু বকর সিদ্দিক জানান, কৃষি শ্রমিকের সংকটের বিষয়টি মাথায় রেখেই চাষাবাদে কৃষকদের যান্ত্রিকতায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য রিপার মেশিন ও কম্বাইন্ড হারবেষ্টারসহ কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় শুরু করা হয়েছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন