ইউপি নির্বাচন

নড়াইলে ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশে বাধা

  • নড়াইল প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৩, ২০১৭, ০৩:১৮ পিএম

নড়াইল: জেলার কালিয়া উপজেলার পেড়লী ও পাঁচগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় নড়াইলের কালিয়া উপজেলার দুটি ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে। এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

স্থানীয় সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, পাঁচগ্রাম ইউপি নির্বাচনে সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেয় পুলিশ। দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা ফিরোজ ও ফেরদৌস এনটিভির নড়াইল প্রতিনিধি এম মুনীর চৌধুরী, চ্যানেল ২৪ এর নড়াইল প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম তুহিন, সময় টিভির নড়াইল প্রতিনিধি খায়রুল আরেফিন রানা, আরটিভির মোস্তফা কামাল, একুশে টিভির ফরহাদ খানকে কেন্দ্রে বাধা দিয়ে অশালীন আচরণ করেন।

এদিকে, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম সাইফুজ্জামানের (আনারস) এজেন্টকে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়াসহ ভোটারদের মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল হক মোল্যা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নড়াইলের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম দাবি করে বলেন, সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

কালিয়া নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পেড়লীতে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ এবং পাঁচগ্রাম ইউনিয়নে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১১ এবং নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পেড়লী ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন জাহাঙ্গীর হোসেন ইকবাল, ধানের শীষ প্রতীকে গোলাম মোর্শেদ শেখ এবং হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরাদ হোসেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জারজিদ মোল্যা (ঘোড়া প্রতীক) ও ইমাম হোসেন তুষার (আনারস) প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

এদিকে, পাঁচগ্রাম ইউপিতে তিন প্রার্থীর লড়াই হচ্ছে। এখানে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী জহুরুল হক মোল্যা  (নৌকা) এবং দলের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী এসএম আশিক বিল্লা (ঘোড়া) ও এসএম সাইফুজ্জামান (আনারস) প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এখানে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। পাঁচগ্রাম ইউপিতে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে আট এবং সাতটি সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

২ ও ৭নং ওয়ার্ডে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সদস্য (মেম্বার) পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না বলে কালিয়া নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

পেড়লী ইউনিয়নে ভোটার ১৬ হাজার ২৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৯৭১ এবং নারী ৮ হাজার ২৯৭। এদিকে, পাঁচগ্রাম ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৫ হাজার ৬৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৮১৭ এবং নারী ২ হাজার ৮৪৪ ভোটার।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন