শ্যালিকাকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা

  • মৌলভীবাজার প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৩, ২০১৭, ০৩:৩৫ পিএম

মৌলভীবাজার: শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিতে না পারায় শ্যালিকাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুলাভাই। এসময় স্ত্রী ও ৬ মাসের শিশু সন্তানকে আহত করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

মঙ্গলবার (২৩ মে) সকাল ১০টায় কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পাবই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় গ্রামবাসী পাষন্ড স্বামীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী জানান, কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের মো. আলাউদ্দীনের ছেলে মো. সালাউদ্দীন ২য় বিয়ে করেছিলেন কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পাবই গ্রামের মৃত মছলু মিয়ার মেয়ে রায়না বেগমকে। তাদরে ঘরে মাছুম মিয়া নামে ৬ মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

পারিবারিক কলহে স্ত্রী রায়না কমলগঞ্জে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে পাবই গ্রামে বাবার বাড়ি এসে পরেন। গত ২১ মে রায়নার শ্বশুর মো. আলাউদ্দীন নিজে এসে পুত্রবধূকে নিতে চাইলে সে স্বামীর বাড়ি ফিরতে রাজি হয়নি। তখন শ্বশুর নিজেও হুমকি ধামকি দিয়ে ফিরে যান।

সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যায় আবার সালাউদ্দীন নিজে শ্বশুর বাড়ি এসে রাত্রিযাপন করে মঙ্গলবার সকালে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে যেতে চায়। তখন স্ত্রী স্বামীর সাথে যেতে চায়নি বলে শুরু হয় তর্কবিতর্ক। এক পর্যায়ে স্বামী সালাউদ্দীনের হাতে থাকা চাকু দিয়ে কুপিয়ে শ্যালিকা মনি বেগমকে (১৬) হত্যা করে। আর স্ত্রী রায়না ও শিশু সন্তান মাসুককে আহত করে ঘরের ভেতর গিয়ে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

এ ঘটনার খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন ও গ্রামবাসী এসে পাষন্ড স্বামীকে আটকে রাখে। আহত স্ত্রী রায়না ও শিশু সন্তান মাসুমকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করে।

রায়নার মা রাবেয়া বেগম ও বড় ভাই মজিদ মিয়া জানান, ঘটনাটি পুলিশকে জানালে তারা এসে আহত স্বামী সালাউদ্দীনকে আটক করে।
হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত (বাচ্চু) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনিও ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছুদ্দোহা পিপিএম জানান, তিনি ঘটনাস্থলে আছেন, পাষন্ড স্বামীকে গ্রেপ্তার করে হত্যায় ব্যবহৃত ছোরা জব্দ করা হয়েছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন