বধূর মেহেদীরঙ না শুকাতেই না ফেরার দেশে স্বামী

  • মৌলভীবাজার প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০১৭, ১০:৫৭ পিএম

মৌলভীবাজার: জেলার কমলগঞ্জে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলেন হাইকোর্টের এক কর্মচারী। মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি। এখনো শুকায়নি নববধূর হাতের মেহেদী রং, তার আগেই পরপারে চলে গেল তিনি।

শুক্রবার (২৩ জুন) সকাল ১০টায় উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মণিপুরী অধ্যুষিত জোড়ামন্ডপ এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মৃতের নাম কিরণ চ্যাটার্জী (২৯)। তিনি ওই এলাকার কিশোর চ্যাটার্জীর বড় ছেলে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চলছে শোকের মাতম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাধবপুর ইউনিয়নের মণিপুরী অধ্যুষিত জোড়ামন্ডপ এলাকায় উত্তর মন্ডপের পুরোহিত কিশোর চ্যাটার্জীর বড় ছেলে হাইকোর্টের অফিস সহায়ক কিরণ চ্যাটার্জী দু'দিন আগে ঈদের ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে শিববাজারস্থ সার্বজনীন মন্ডপের রান্নাঘরে আসন্ন জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উদযাপন উপলক্ষে বান্ডড়া পাকের আয়োজন করা হয়। আর এই বান্ডড়া পাকের পানির জন্য মটরের সুচ দিতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারে পা জড়ালে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট হন।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সাড়ে ১১টায় কর্তব্যরত ডাক্তার কিরণ চ্যাটার্জীকে মৃত ঘোষণা করেন।

কিরণের মরদেহ হাসপাতাল থেকে দুপুরে তার গ্রামের বাড়ি মাধবপুর ইউনিয়নের শিববাজারস্থ উত্তর জোড়ামন্ডপ এলাকায় পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যে সৃষ্টি হয়। স্বজন ও পুরো মণিপুরী পল্লীর বাসিন্দাদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে।

এসময় কিরণের স্ত্রী সমাপ্তী শর্ম্মা বার বার জ্ঞান হারিয়ে মৃত স্বামীর বুকে লুটে পড়ছিলো। এদিন বিকেল ৩টায় নিজ পারিবারিক শশ্মাণে নিহত কিরণ চ্যাটার্জীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম