রাজশাহীতে সাপ আতঙ্ক!

  • রাজশাহী ব্যুরো | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০১৭, ০২:২১ পিএম

রাজশাহী: এক সপ্তাহের ব্যবধানে জেলার দুটি স্থানে প্রায় দেড় শতাধিক সাপের সন্ধান মিলেছে। বনে কিংবা জলে নয়, এসব সাপ বাসা বেঁধেছিল শোবার ঘরে ও রান্নাঘরে! এ নিয়ে পুরো জেলার মানুষজন সাপ আতঙ্ক রয়েছেন।

হঠাৎ করে কেন রাজশাহীতে সাপের আনাগোনা বেড়ে গেছে তা খতিয়ে দেখছে গবেষকরা। এসব ঘটনার পর রাজশাহীবাসী নিজেদের ঘর, রান্নাঘর কিংবা গোয়ালঘরে তল্লাশি চালাচ্ছেন নিয়মিত।

সর্বশেষ ৬ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় তানোর পৌর এলাকার ভদ্রখন্ড মহল্লায় ১২৫টি গোখরা সাপের সন্ধান মেলে। সাপগুলোকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বাড়িওয়ালা।

এর দুই দিন আগে গত ৪ জুলাই রাজশাহী শহরের একটি বসতঘর থেকে ২৭টি বিষধর সাপ পাওয়া গিয়েছিল।

নতুন করে ১২৫টি গোখরা সাপের বাচ্চা যে বাড়িতে পাওয়া গেছে সেখানকার বাসিন্দা আক্কাছ আলী। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, সন্ধ্যার পর রাতের খাবার তৈরি করতে রান্নাঘরে রান্না ঘরে গিয়েছিলেন তার স্ত্রী হাসনা বিবি। সেখানে মেঝেতে তিনটি গোখরার বাচ্চা দেখে আতঙ্কে চিৎকার দেন তিনি।

চিৎকার শুনে রান্না ঘরে ছুটে যান আক্কাছ আলী। এর কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের ২ ছেলে হাসিবুর রহমান ও আজিবুর রহমানও রান্না ঘরে যান। তারা ৩ জনে মিলে ৩টি সাপের বাচ্চা মারার পর ঘরের কোনায় গর্ত থেকে আরও সাপের বাচ্চা বেরিয়ে আসতে দেখেন তারা।

আক্কাছ আলী বলেন, ওই গর্ত দিয়ে একের পর সাপ বের হতে থাকে। আর আমরা একের পর এক সাপ মারতে থাকি। এর এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আমাদের সঙ্গে যোগ দেন। সব মিলিয়ে মোট ১২৫টি সাপ মারা হয়। পরে গর্ত খুঁড়ে আরও ১৩টি সাপের ডিম পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, প্রতিটি সাপ লম্বায় প্রায় দেড় ফুট হবে। ১২৫টি সাপ মারার এক পর্যায়ে ওই গর্ত থেকে একটি মা সাপ গর্ত থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যেতে দেখেছি।

আক্কাছ আলী বলেন, পুরনো মাটির বাড়ি হওয়ায় ইঁদুরের গর্তে ডিম দিয়ে বাচ্চা ফুটিয়েছে মা গোখরা। সাপের বাচ্চাদের বাপ-মা বেঁচে থাকায় পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছে। ছেলে-মেয়েরা বাড়িতেই থাকতে চাচ্ছে না। ঘটনার পর থেকে আমার বাড়িতে সাপ দেখতে স্থানীয় লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী নগরের বুধপাড়া এলাকায় গত ৪ জুলাই রাতে একটি ঘরে থাকা ইঁদুরের গর্ত থেকে ২৭টি গোখরা সাপ বের করা হয়েছিল। ওই সাপগুলোকেও মেরে ফেলেছেন ওই বাড়ির বাসিন্দা মাজদার রহমান।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/এইচএআর