নদী ভাঙন আতঙ্কে ৩৫ গ্রামের মানুষ

  • এসএম শহীদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০১৭, ১১:০২ এএম

সাতক্ষীরা: জেলার শ্যামনগরের কাশিমাড়ীর ঝাপালী সংলগ্ন মোমিননগর এলাকায় আবারো পাউবোর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কারের কাজ করছে। এদিকে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে ১৫গ্রামের মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) খোলপেটুয়া নদীর প্রবল স্রোতে ও ভারী বর্ষণের ফলে ঝাপালী সংলগ্ন মোমিননগরের প্রায় ৪০০ফুট দীর্ঘ বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়।

এলাকায় বেড়িবাঁধ ভাঙন আতঙ্কে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ডা. এসএম আব্দুর রউফের নেতৃত্বে প্রায় ২০০ মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাধ সংস্কার করছে।

স্থানীয়রা জানান- ‘ভাঙন এতই ভয়াবহ, যে কোন মূহূর্তে নদীর লবণাক্ত পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে। পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে মৎস্য ঘের, বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ আসন্ন আমন ধানের বীজ ক্ষেত প্লাবিত হয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও জানমালের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে’।

সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জরুরি ভিত্তিতে এগিয়ে না আসলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে এবং ১৫টি গ্রামের অস্তিত্ব হুমকিতে পড়বে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

অন্যদিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলায় বেতনা নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। পারমাছখোলা গ্রামের মৃত জিয়াদ আলী মাস্টারের বাড়ির সংলগ্ন পাউবোর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, ‘প্রায় একযুগ আগে একই জায়গায় বাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। সে সময় পাউবোর তত্ত্বাবধায়নে বাধটি সংস্কার করা হয়। সম্প্রতি বেতনা নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় নদীর উত্তর পাশে পানির প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙন দেখা দেয়।

ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান মতি বলেন, গত কয়েকদিন আগে বাধে ভাঙন লক্ষ্য করা যায়। এখনি যদি বাধটি সংস্কার করা না হয় তাহলে ভাঙন আরো বৃদ্ধি পাবে। জরুরি ভিত্তিতে বাধটি সংস্কার না হলে বাধ ভেঙে প্রায়ই ২০ গ্রাম প্লাবিত হবে। এলাকাবাসী বাধ সংস্কার করার জন্য পাউবোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন