বিয়ের দাবিতে বৃষ্টিতে বাড়ির বাইরে তরুণীর অনশন

  • সুমন মুখার্জী, নীলফামারী | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০১৭, ১১:১৫ এএম

নীলফামারী: জেলার ডোমার উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছে লাবনী রানী (১৮) নামের এক তরুণী।

শনিবার (২৯ জুলাই) থেকে উপজেলার নয়ানী বাকডোকরা গ্রামে প্রেমিকা লাবনী রানী তার প্রেমিকের বাসায় অবস্থান করছেন।

লাবনী রানী উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব নয়ানী বাকডোকরা গ্রামের বাবু লালের মেয়ে। প্রেমিক চন্দ্র একই এলাকার জ্যোতিষ চন্দ্রের ছেলে।

লাবনী রানী জানান, আমার বড়ভাই মলয় রায়ের ভাল বন্ধু ছিল চন্দ্র। সেই সুবাদে সে বাড়িতে যাতায়াত করতো। ভাই বাড়িতে না থাকলেও সে বাড়িতে এসে আমার সাথে নানারকম কথা বলতো। একদিন বাড়িতে প্রবেশ করে ভাই না থাকায় সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং জোর করে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দৈহিক সম্পর্ক করে। বিষয়টি বাড়িতে জানাতে চাইলে সে তাড়াতাড়ি বিয়ে করবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করে।

এরপর থেকে প্রতিদিন রাতে আমাদের বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে আমরা দেখা করতাম। এইভাবে দুইবার আমার পেটে বাচ্চা আসে। সে বাজার থেকে ওষুধ এনে দিলে সেই ওষুধ খেয়ে আমি বাচ্চা নষ্ট করি। এভাবে সাত বছর কেটে যায়।

বিয়ের কথা বললেই সে টালবাহানা করতে থাকে। পরে সে অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করবে জানতে পেরে তাকে ফোন দেই। সে বলে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বড় ভাই আমার বিয়ে দিচ্ছে তাই তুমি বাড়িতে আসো।

তার কথামত শনিবার রাতে আমি তাদের বাড়িতে আসি। আমাকে দেখতে পেয়ে সে পালিয়ে যায়। বাড়ির লোকজন ঘড়ে ঢুকতে না দেয়ায় আমি বাড়ির খুলিতে অবস্থান করছি এবং সেখানেই রাত্রি যাপন করছি।

লাবনীর ভাই মলয় জানান, বন্ধুত্বের সুযোগে চন্দ্র আমার বোনের সাথে জঘন্য কাজ করেছে। এখন সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, লাবনী শনিবার থেকে চন্দ্রের বাড়ির খুলির মধ্যে অবস্থান করছেন। এই ঝড়-বৃষ্টির রাতে সে ওইখানেই রাত্রিযাপন করছেন।

উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ সোনালীনিউজকে বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ-মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন