গৃহবধূ দগ্ধ : স্বামীসহ শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেপ্তার

  • দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০১৭, ০৪:৪০ পিএম

ঢাকা: জেলার নবাবগঞ্জে সুমি রাণী (২০) নামে এক গৃহবধূ শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় স্বামী বিকাশ দাস (২৫), শ্বশুর ফকির চাঁন দাস (৫৫) ও শাশুড়ি ছায়া রানীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে উপজেলা বাহ্রা ইউনিয়নের পশ্চিম বাহ্রা গ্রামের নিজবাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাতে সুমির দেবর বিক্রম দাস তার ৭/৮ বন্ধু মিলে ঘরের ভেতরে মদের আসর বসায়। এ সময় তারা মদ্যপান করে মাতলামী করে। পরে গৃহবধূ সুমি রাণী বিষয়টি সইতে না পেরে শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে দেবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এতে তারা কর্ণপাত করেননি। উল্টো সুমি রানীকে শাসন করে স্বামীসহ শ্বশুর-শাশুড়ি। এ ঘটনায় দেবর ক্ষিপ্ত হয়ে মাতলামি অবস্থায় গভীর রাত পর্যন্ত সুমিকে বকাঝকা করে।

পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে বাড়ির শৌচাগারে নিজের গায়ে আগুন দেয় গৃহবধূ সুমি। পরে মারাত্মক দগ্ধ অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সুমিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। এরপর ১৮ আগস্ট শুক্রবার ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমির মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ১৮ আগস্ট শুক্রবার রাতে সুমির বাবা কানদেব দাস বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার সকালে নিজবাড়ি থেকে সুমির স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সুমির পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ৩ বছর আগে একই গ্রামের ফকির চাঁন দাসের ছেলে বিকাশ দাস ভালোবেসে বিয়ে করে সুমিকে। তাদের ঘরে পাপড়ি নামে দেড় বছরে একটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে।

নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার রাতে সুমির বাবা কানদেব দাস বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(ক) ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর