শিক্ষক-ছাত্রীর অবৈধ সম্পর্ক, অবশেষে ধর্ষণ মামলা

  • নীলফামারী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭, ১১:১১ পিএম
প্রতীকী ছবি

নীলফামারী: জেলার সৈয়দপুরে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কলেজছাত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে ধর্ষিতা কলেছাত্রীর বাবা আবু ছালেক বাদি হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তার স্ত্রী আসমা বেগমকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও দলুয়া চৌধুরীপাড়া গ্রামের আবু ছালেকের মেয়ের (১৭)। একপর্যায়ে ওই প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রীর বাড়ি যাতায়াত করা শুরু করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রীকে  বিয়ের আশ্বাস দেন এবং তার লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ বহন করেন।

সে অনুযায়ী ওই শিক্ষক গত তিন মাস থেকে ওই ছাত্রীর সব খরচ বহন করেন এবং কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি করে দেন। ছাত্রীর বাবা হতদরিদ্র রিকশাচালক হওয়ায় ছাত্রীটি প্রধান শিক্ষকের কথায় বিশ্বাস করেন। কিন্তু একপর্যায়ে ছাত্রী তার বাড়িতেই প্রধান শিক্ষকের লালসার শিকার হন। এমনকি ওই প্রধান শিক্ষকের বাসায় মাঝে মধ্যে ওই ছাত্রীকে ডেকে অবৈধভাবে শারীরীক মেলামেশা করতেন।

কয়েক দিন আগে ওই ছাত্রী বিয়ের চাপ দিলে প্রধান শিক্ষক তালবাহানা শুরু করেন। এমনকি তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এদিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী আসমা বেগম, তার বোন ও তার দলের লোকজন দিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে এ ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দেন। কিন্তু এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা উত্তেজিত হয়ে বিদ্যালয় অবরোধ করে।

এ সময় তারা ধর্ষণকারী প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করে। ঘটনার সময় বিদ্যালয় উপস্থিত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুল মোমিন, ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বজলুল রশীদ, উপজেলা ভুমি কমকর্তা, আহমেদ মাহবুব উল ইসলাম, সৈয়দপুর থানা অফিসার্স ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ সৈয়দপুর থানার পুলিশ সদস্যরা অভিযোগ প্রমাণ সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সৈয়দপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার ভিকটিমের জবাববন্দী গ্রহণে আদালতে এবং ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নীলফামারী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম