শ্যালিকাকে একা পেয়ে যা করলো দুলাভাই!

  • ঝালকাঠি প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭, ১০:৪৭ পিএম
প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠি: জেলার নলছিটি উপজেলায় দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে আপন চাচাত শ্যালিকাকে (১৪) শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার সিদ্ধকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক জীবন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়া ওই পরিবারটি আইনি সহযোগিতা নিতে পারছে না। ওই কিশোরী সিদ্ধকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

ওই ছাত্রী জানান, বাড়ির লোকজন বেড়াতে যাওয়ার সুযোগে দুলাভাই আলতাফ হোসেন (৫৮) পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে করে জোরপূর্বক তাকে বারবার ঝাপটে ধরে শ্লীলতাহানি চেষ্টা চালায়। পরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আলতাফের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে ওই কিশোরী চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে লম্পট দুলাভাই পালিয়ে তার শ্বশুর ফারুক খানের ঘরে আশ্রয় নেয়।

এ ঘটনার পর ওই ছাত্রী ও তার ছোট বোনকে (১০) মারধর করে হাওয়া বেগম ও হীরা আক্তার নামে আলতাফের আপন দুই শ্যালিকা। এসময় ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য শাসিয়ে যায় তারা।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই কিশোরী আরো জানায়, ‘ওই ঘটনার পর আলতাফ হোসেনের শ্যালক নাজমুল খান ও তার বাহিনীর হুমকি-ধমকিতে আমার লেখাপড়া বন্ধ হতে বসেছে।’
তবে ওই ছাত্রীকে মারধর ও শাসানোর বিষয়টি অস্বীকার করে হাওয়া বেগম ও হীরা বেগম বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে পারিবারিক শত্রুতা থাকায় তারা মিথ্যা অভিযোগ তুলছে’।

শ্লীলতাহানি চেষ্টা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওই ছাত্রীর দিনমজুর বাবা জানান, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আপোষ-মিমাংসার কথা বলে এলাকার প্রভাবশালীরা জোর করে সালিশ-বৈঠকের আয়োজন করে। ওই সালিশ বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে কৌশলে পালিয়ে যান লম্পট আলতাফ হোসেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এ কারণে মামলা বা কোথাও অভিযোগ করার সাহস পাচ্ছি না।  

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলতাফ হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ সঠিক নয়। জমি নিয়ে আমার শ্বশুরের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিবারের বিরোধ থাকায় তারা এসব অপপ্রচার করছে।’

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম সুলতান মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম