নারী ‘দুদক’ কর্মকর্তার এ কি হাল!

  • সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০১৭, ০৯:৪০ এএম
আটক স্বপ্না রাণী রায়

সিরাজগঞ্জ: আসছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ‘কর্মকর্তা’ স্বপ্না রাণী, সাবধান! দীর্ঘদিন ধরেই সিরাজগঞ্জর তাড়াশে এমনিভাবে ত্রাস সৃষ্টি আসছে এই দুদক ‘কর্মকর্তা’। ক্ষমতাসীনদের সাথে হাত মিলিয়ে বেশকিছু দিন হলেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা নেয়াসহ অসংখ্য অপরাধমূলক কাজ করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চিটিংবাজিরও তো শেষ আছে! হ্যাঁ এমনটাই ঘটেছে স্বপ্না রাণীর বেলায়।

এলাকাবাসির অভিযোগের মুখে দুদক কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে ভয় দেখানো ও চাঁদাবাজির অভিযোগে রোববার (১৫ অক্টোবর) স্বপ্না রাণী রায়কে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পায় তিনি দুদক কর্মকর্তা নন। ভুয়া পরিচয় দিয়ে এতদিন চাঁদাবাজি করেছেন। 

রোববার দুপুরে আদালতে মাধ্যমে তাকে সিরাজগঞ্জ জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ওই দিনই ভোররাতে তাড়াশ উপজেলার আদিবাসী অধ্যুষিত গুল্টা গ্রামের অতুল চন্দ্র উরাঁওয়ের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক স্বপ্না পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার বুনাইনগর গ্রামের রতন রায়ের মেয়ে।

তাড়াশ থানার ওসি মনজুর রহমান জানান, স্বপ্না রাণী রায় নিজেকে দুদকের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে গুল্টা গ্রামের আবু হানিফের কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং জমি থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায়। বিষয়টি নিয়ে গত একমাস যাবত এলাকার মাতব্বরদের দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি প্রদান করে আসছিলেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার সে জমির আরেক পক্ষ সাবেক ইউপি সদস্য অতুল চন্দ্র উরাঁওয়ের বাড়িতে আসে এবং গুল্টা গ্রামের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় প্রকাশ্যে দুদকের ভুয়া কর্মকর্তা পরিচয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখায়। সংবাদ পেয়ে রোববার ভোররাতে অতুলের বাড়ীতে গিয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলে তালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ভুয়া বলে প্রমাণ হওয়ায় তাকে আটকে থানায় নিয়ে আসা হয়।

পরে হানিফের স্বজন আসাদ আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জ আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই