হবিগঞ্জ: জেলার সদর উপজেলায় প্রবাসীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ তার পরকীয়া প্রেমিক বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এর আগে পরকীয় প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি জেনে ওই গৃহবধূকে তালাক দেয় তার স্বামী। এ ঘটনায় সর্বত্র তোলপাড় চলছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার পইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার দালান হাটির সুরত আলীর প্রবাসী ছেলে জুয়েল মিয়ার সঙ্গে কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকার মৃত আয়াত আলীর মেয়ে রাবিয়া আক্তারের (৩০) বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৩ সন্তানের জন্ম হয়। পরে জীবিকার তাগিদে জুয়েল সৌদি আরব চলে যায়। এ ফাঁকে রাবিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কাছম আলীর ছেলে তোফাজ্জল মোল্লার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এ খবর জুয়েলের কাছে পৌঁছালে তিনি দেশে চলে আসে এবং জানতে পারে তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে রাবিয়াকে তালাক দেয়।
এদিকে রাবিয়া তার প্রেমিক তোফাজ্জলকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। প্রথমে তিনি বিয়েতে রাজি না হলেও পরবর্তীতে চাপের মুখে পড়ে রাবিয়াকে বিয়ে করতে রাজি হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ওই গ্রামের জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের সকল প্রস্তুতির শেষ মুহুর্তে তোফাজ্জল বিয়ে করতে অনিহা প্রকাশ করে। এ নিয়ে রাবিয়া ও তোফাজ্জলের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে দুইজনই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে ওই গৃহবধূর সাবেক স্বামী জুয়েল জানান- রাবেয়া পরকীয়ায় আশক্ত হয়ে পড়েছিল। এমনকি তার গর্ভে পরকীয়া প্রেমিকের সন্তানও ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে আমি দেশে এসে তাকে তালাক দেই। পরে রাবেয়া ও তার পরকীয়া প্রেমিকের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে বলে আমি শুনেছি।
৪নং পইল ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হাসান আরিফ জানান- বিষ খাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে কি কারণে তারা বিষ খেয়েছে তা নিশ্চিত না।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ত্রিলোক চাকমা জানান, রাবিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার অনাগত সন্তান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমএইচএম