ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করে পিতার আত্মহত্যার চেষ্টা

  • ময়মনসিংহ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০১৭, ০৩:০৫ পিএম

ময়মনসিংহ : জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় এক পাষণ্ড পিতা তার ৫ বছরের ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করেছে। ছেলেকে হত্যার পর নিজে গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বাবা হাবিবুর রহমান। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বরুকা তালতলা নামক স্থানে। পারিবারিক অশান্তির কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। নিহত শিশুর নাম রিয়াদ (৬)। মুমূর্ষু আবস্থায় হাবিবকে উন্নত চিকিৎসা জন্য প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন চিকিৎসক।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার কুশমাইল বরুকা গ্রামের হাজী জয়নাল আবেদীনের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৫) পার্শ্ববর্তী  ইচাইল গ্রামে ৭/৬ বছর আগে বিয়ে করে। তাদের ঘরে রিয়াদ (৬) নামে শারিরীক প্রতিবন্ধী শিশু ছেলে সন্তান রয়েছে। হাবিবুর রহমান জামালপুরে একটি এনজিওতে চাকরির সুবাদে কয়েক মাস আগে সেখানে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ খবর প্রথম স্ত্রী শোনার পর ২/৩ মাস আগে স্বামী হাবিবুরকে তালাক দিয়ে সে বাপের বাড়ি চলে যায়। বৃহস্পতিবার হাবিবুর জামালপুর থেকে বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ফুলবাড়িয়া-কেশরগঞ্জ সড়কের বাক্তা বাজারের তালতলা নামকস্থানে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাজার থেকে ফেরার পথে কান্নার আওয়াজ পেয়ে পিতা-ছেলে দু’জনকেই ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশু রিয়াদকে মৃত ঘোষণা করেন। হাবিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

হাবিবুরের বোনজামাই চান মিয়া জানান, হাবিবুর বৃহস্পতিবার জামালপুর থেকে বাড়িতে আসার কথা তিনি শুনেছেন। তার শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুপুত্রকে নিয়ে পারিবারিকভাবে হাবিবুর অশান্তিতে ছিল বলেও তিনি জানান।

ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ কবিরুল ইসলাম জানান, শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু উদ্ধার করেছে। পুলিশ আটক অবস্থায় হাবিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল ও পরে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর