নাসিরনগর হামলা : ২২৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০১৭, ০৭:১৮ পিএম
ফাইল ফটো

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার নাসিরনগর উপজেলা সদরে গৌর মন্দিরে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও আগুন দেয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া আট মামলার মধ্যে একটি মামলায় ২২৮জনকে অভিযুক্ত করে জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শকের কাছে চার্জশীট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শওকত হোসেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমানের কাছে অভিযোগ পত্রটি জমা দেন।

অভিযুক্ত ২২৮ জনের মধ্যে উপজেলার হরিপুর ইউপির বহিস্কৃত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান আতিকুর আঁখি, সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসেম, হরিপুর ইউপি আ. লীগ সভাপতি (বহিষ্কারের সুপারিশকৃত) ফারুক মিয়া, চাপরতলা ইউপি আ.লীগ সভাপতি (বহিষ্কারের সুপারিশকৃত) সুরুজ আলী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, হরিপুর ইউপি বিএনপির সভাপতি মো. জামাল, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হোসেন চকদার উল্লেখ্যযোগ্য।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গৌর মন্দির ভাঙচুর মামলার চার্জশীট আমার কাছে জমা দিয়েছেন। মামলার চার্জশীটে কোনো ভুল-ত্রুটি আছে কিনা সেটি মূল নথির সঙ্গে যাচাই-বাছাই করে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করা হবে। নাসিরনগর থানার ওসি চার্জশীট দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নাসিরনগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর উপজেলা সদরের গৌর মন্দিরে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও আগুন দেয়ার ঘটনায় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরী বাদী হয়ে দুই থেকে আড়াই হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি মামলা করেন।

উল্লেখ্য, হরিণবেড় ইউপির হরিপুর গ্রামের রসরাজ দাস নামে এক হিন্দু যুবক নিজের ফেসবুক আইডি থেকে পবিত্র কাবা শরীফের উপর শিব মূর্তি স্থাপন করে ছবি পোস্ট দেয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছরের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলা সদরে মন্দির ও বাড়ি ঘরে হামলা হয়। পরে আরো কয়েক দফা ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। ওই সব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থরা প্রায় ৩০ হাজার লোককে আসামি করে নাসিরনগর থানায় আটটি মামলা করেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম