হাতিয়ায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, শ্বশুর-শাশুড়ি আটক

  • নোয়াখালী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০১৭, ০৮:৩৬ পিএম
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালী: জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার শারমিন আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূকে বুড়িরচর ইউনিয়নের রেহানিয়া গ্রাম থেকে শারমিন আক্তার (২১) নামের গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে হাতিয়া থানা পুলিশ।

শারমিন হাতিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের মেয়ে। গলাটিপে শ্বাস রোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছয় মাস আগে রেহানিয়া গ্রামের রফিক ব্যাপারীর ছেলে মোশারফ হোসেনের (২৮) সঙ্গে বিয়ে হয় শারমিনের। সোমবার রাত ৮টার দিকে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হয়। যার এক পর্যায়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায় মোশারফ। পরে বাড়ির লোকজন শারমিনের কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে ঘরের ভেতরে গিয়ে শারমিনের মরদেহ দেখতে পায়। এ ঘটনার পর থেকে মোশারফ পলাতক রয়েছেন। শারমিনের পিতা আবুল কাশেম অভিযোগ করে জানান, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় মোশারফ শারমিনকে মারধর করতেন। রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মোশারফ শারমিনকে গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে যান।

হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান শিকদার জানান, খবর পেয়ে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভিকটিমকে তার স্বামী গলাটিপে হত্যা করেছেন। ঘটনার পর থেকে মোশারফ পলাতক রয়েছেন। এতে জড়িত সন্দেহে গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে নিশ্চিত করেন ওসি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর