বাগেরহাট: পূর্ব সুন্দরবনে মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সোমবার (৮ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে আরো ৫ জেলেকে অপহরণ ও কয়েক লাখ টাকা মাছ লুট করেছে বনদস্যু ছোট্ট বাহিনী। অপহৃতদের মধ্যে শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের মোস্তফা গাজীর ছেলে আশরাফুল (২০), ইসমাইল খানের ছেলে মনির (২৮) ও রুহুল পহলানের ছেলে ইসরাফিলের (২৭) নাম জানা গেছে।
চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কাঁকড়ামারি ও তাম্বলবুনিয়া এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। এর আগে রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে একই রেঞ্জের আড়ুয়াবয়া এলাকা থেকে সুমন আকন ও সেলিম ফকির নামের দুই জেলেকে অপহরণ করে ওই দস্যু বাহিনী। এনিয়ে গত দু’দিনে ৭ জেলে অপহরণের ঘটনা ঘটল।
ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ব্যবসায়ীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, উপজেলার উত্তর রাজাপুর এলাকার জেলেরা মৎস্য আহরণ করে লোকালয়ে ফেরার পথে বনের কাঁকড়ামারি ও তাম্বলবুনিয়া এলাকায় পৌঁছালে বনদস্যু ছোট্ট বাহিনীর সদস্যরা জেলেদের নৌকায় হানা দেয়। প্রথমে দস্যুরা নৌকায় উঠে জেলেদের মারধর করে আহরিত মাছ লুট করে তাদের ট্রলারে তোলে।
এর পর তারা পাঁচ নৌকা থেকে একজন করে ৫ জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় দস্যুরা পাঁচ নৌকা থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা মাছ লুট করে বলে ফিরে আসা জেলেদের সূত্রে জানা গেছে।
মৎস্য ব্যবসায়ীরা আরো জানান, একের পর এক জেলে অপহরণের ঘটনায় মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। দস্যুদের নির্যাতন আর অপহরণের ভয়ে সাধারণ জেলেরা সুন্দরবনে যেতে ভয় পাচ্ছেন। এছাড়া বার বার দস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে অনেকের ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সুন্দরবন দস্যুমুক্ত করতে ব্যাপকভাবে অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা।
কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, রোববার (৭ জানুয়ারি) জেলে অপহরণের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরবনে তাদের অভিযান শুরু হয়। বনের দস্যুপ্রবণ এলাকাগুলোতে কোস্টগার্ডের তিন টিম কাজ করছে।
সোনালীনিউজ/এমএইচএম