মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের পাঁয়তারা : প্রাণনাশের হুমকি!

  • এম আরমান খান জয়, গোপালগঞ্জ | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০১৮, ০৪:০৩ পিএম

গোপালগঞ্জ : মুকসুদপুরে ভূমিদস্যু কর্তৃক জোরপূর্বক এক মুক্তিযোদ্ধার ক্রয়কৃত জমি দখলের পাঁয়তারাসহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। দখলের পাঁয়তারা ছাড়াও তারা ভুয়া কাজপত্র তৈরি করে ওই মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাণের ভয়ে ছেলে সন্তান নিয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছে ওই মুক্তিযোদ্ধার পরিবার।

এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জলিলপাড় ইউনিয়নের উত্তর জলিলপাড় গ্রামে। মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী চোকদারের অভিযোগে জানা গেছে, ৪ নং জলিলপাড় মৌজার ৪৯৫ নং খতিয়ানের সাবেক ৩৩২, হাল ১০৩ নং দাগের ২১ শতাংশ জমির মধ্যে হতে ১০.৫ শতাংশ জমি ১৯৮৫ সালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় মোহাম্মাদ মোল্লার কাছ থেকে ক্রয় করেন।

কিছুদিন পরে দলিল করে দেওয়ার কথা থাকলে ও তা দেয়নি। পরবর্তীতে আমি দলিলের জন্য বার বার বলতে থাকলে ২০০৭ সালে একটি হস্তান্তর নামা দেয়। পরে ২০১০ সালে আমার স্ত্রীর নামে একটি ভুয়া দলিল সাজিয়ে প্রিয়েনশন মামলা করে, আমি ওই মামলার বিপক্ষে একটা মামলা দেই। মামলাটি বর্তমান গোপালগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে চলমান রয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী চোকদর আরো বলেন, আমি জমি ক্রয়ের পর সেখানে বিভিন্ন প্রকারের কাজ লাগানোসহ দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগদখল করার পর আমাকে উক্ত জমি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় ওই গ্রামের ভূমিদস্যু এ জালিয়াত চক্রের হোতা হাসিনা বেগম, রুহুল শেখ, রফিক শেখ, রেহানা বেগমসহ তাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা।

ওই সংঘবদ্ধ দলটি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী চোকদারের বাড়িঘর ভাঙচুরসহ বিভিন্ন সময় তার ও তার ছেলে সন্তানদের প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, ওই ষড়যন্ত্রকারীরা জালিয়াতি কাজপত্র তৈরি করে তার বসতবাড়ী আত্মসাতের পাঁয়তারা চালাচ্ছে এবং তাকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে একাধিক মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে সর্বশান্ত করেছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হাসিনা বেগম বলেন, এ জায়গাটি আমার আমি কোর্টের রায় পাইছি। আমি তাদেরকে কোনো ধরনের হয়রানি করছি না। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আদালত আমাকে যে রায় দেয় আমি তা মাথা পেতে নেব।

মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী চোকদার তার সম্পত্তি উদ্ধারসহ ছেলে-সন্তাদের নিরাপত্তার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর