রংপুরে দগ্ধ হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জন

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০১৮, ০৪:২৪ পিএম

রংপুর: শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সুভাষ চন্দ্রের স্ত্রী গীতা রানী (২৫), লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার মিজানুর রহমানের স্ত্রী রুমকি (২৭), নীলফামারী সদরের মৃত তমিজ উদ্দীনের স্ত্রী আফরোজা (৭৫) এবং দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মৃত খোদা বকসের ছেলে মকবুল (৬২) মারা যান।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে শুক্রবার সকালে তারা মারা যান।

এ নিয়ে গত ১৪ দিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ জনের মৃত্যু হলো। রংপুর বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, চলমান শৈত্যপ্রবাহ ও শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে গত ৬ জানুয়ারি থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার অর্ধশত নারী, বৃদ্ধ ও শিশু।

আহতদের শরীরে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। রংপুর বার্ন ইউনিটের সহকারী পরিচালক নূরে আলম জানান, প্রচণ্ড শীত থেকে বাঁচতে খড়-কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহানোর সময় বিভিন্ন সময় অন্তত ৫৫ জন দগ্ধ হন। এদের রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

এর মধ্যে শুক্রবার সকালে ৪ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে মারা যান, লালমনিরহাট সদর থানার সাম্মি আখতার (২৭), একই জেলার পাটগ্রামের ফাতেমা বেগম (৩২) ও আলো বেগম (২২), রংপুরের কাউনিয়ার গোলাপি বেগম (৩০), নীলফামারীর রেহেনা বেগম (২৫), রংপুর নগরীর নজিবের হাট এলাকার বেলাল হোসেনের স্ত্রী আফরোজা খাতুন (৪০), ঠাকুরগাঁও শহরের থানাপাড়ার আঁখি আক্তার (৪৫), রংপুরের জুম্মাপাড়া পাকার মাথার রুমা খাতুন (৬৫), রংপুরের মাহিগঞ্জের চাঁন মিয়ার স্ত্রী মনি বেগম (২৫), নীলফামারী সদরের সোনারাম গ্রামের আমজাদ হোসেনের স্ত্রী মারুফা খাতুন (৩০), লালমনিরহাট জেলার রাজপুর গ্রামের শুকমনি (৭০), রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার জামেরন বেওয়া (৮০) ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার হাসু বেগম (৬৫), কুড়িগ্রামের নুরিজা (৩০) ও পঞ্চগড়ের আরজিনা (২৮)।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেএ