মেলার ভেতর বিকট শব্দ, রক্ত ঝরছিল

  • নাটোর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮, ০৯:৪৬ পিএম
আহত সাহাবুদ্দিন

নাটোর: আয়োজন করা হয়েছে লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার ও সম্প্রসারণ মেলা। সেই মেলায় প্রদর্শন করা হয়েছিল পাঁচ বন্ধুর আবিষ্কৃত খেলনা কামান। হঠাৎ মেলার ভেতর কামানটি বিস্ফোরিত হয়, পাল্টে যায় পুরো দৃশ্য। এসময় ওই পাঁচ বন্ধু কেনোমতে প্রাণে বাঁচলেও কামানের স্পিন্টারে মারাত্মক আহত হয় মেলায় আগত দর্শানার্থী শাহাবুদ্দিন নামে এক ছাত্র।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাটারের গুরুদাসপুরের বিলচলন কারিগরি ও কমার্স কলেজে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত সাহাবুদ্দিনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। প্রথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শাহাবুদ্দিন খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিয়াঘাট ইউনিয়নের সাবগাড়ি গ্রামের ফয়জাল সরকারের ছেলে।

খেলনা কামানের আবিষ্কারক শিক্ষার্থী নোমান, রিয়াদ, আশরাফুল, শরিফুল ও সোহাগ জানায়, তারা পাঁচ বন্ধু মিলে ওই কামান আবিষ্কার করেছে। কলেজের স্টলে সেই কামান প্রদর্শন করা হয়। স্টলের ভেতরেই রোববার দুপুরে শাহবুদ্দিন কামানটি নাড়াচারা করছিল। এসময় হঠাৎ কামানের বিস্ফোরণ ঘটলে তারা কোনোমতে বেঁচে গেলেও শাহাবুদ্দিনের গলায় স্পিন্ট আঘাত হানে। সঙ্গে সঙ্গে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

ওই কলেজের বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক মিরাজুল ইসলাম ও ট্রেড ইন্সট্রাক্টর আবু শামীম জানান, পাঁচ শিক্ষার্থীর আবিষ্কৃত খেলনা কামানটির বিস্ফোরণ ঘটলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কামান বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজে অনেকেরই কানে সাময়িক সমস্যা দেখা দেয়।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের আবিষ্কৃত খেলনা কামানটি মেলায় প্রদর্শন করা হয়েছিল। এছাড়া বেশ কয়েকটি প্রযুক্তির ব্যবহারও রয়েছে ওই স্টলে। তবে ওই কামানটি ব্যাটারি চালিত ছিল। কোনো প্রকার বিস্ফোরক দ্রব্য নয়। তাছাড়া বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হতে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ওই কলেজের শিক্ষক এবং কামানটির আবিষ্কারকদের সঙ্গে কথা বলা হবে।

মেলায় কোন প্রকার বিস্ফোরক দ্রব্য প্রদর্শন করার অনুমতি নেই। অনাকাঙ্খিতভাবে এক দর্শনার্থী স্টলে ঢুকে কামানটি নাড়াচাড়া করছিল। এসময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মেলায় সাময়িক আতঙ্ক সৃষ্টি হলেও পরে পরিস্থিত স্বাভাবিক হয়।

গুরুদাসপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. তারেকুর রহমান সরকার বলেন, ঘটনাটি জানার পর পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে ওই ঘটনা ঘটতে পারে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম