ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা রিমান্ডে

  • নড়াইল প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮, ১২:১৬ পিএম

নড়াইল : দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লতিফুর রহমান পলাশ (৪৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ মনিরুজ্জামান মনিরকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার ওসি তদন্ত মনিরুল ইসলাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়ালের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে নড়াইলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী হাসানের নের্তৃত্বে ঢাকা থেকে মনিরুজ্জামান মনিকে গ্রেফতার করে পরেরদিন (রোববার) দুপুরে লোহাগড়ায় নিয়ে আসেন। এর আগে মনিরুজ্জামানের ভাই শরীফ বাকি বিল্লাহকে সন্দেহজনক ভাবে আটকের পর গত শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে নিহত পলাশের বড় ভাই জেলা পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু শরীফ মনিরুজ্জামান মনিসহ ১৫ জনের নামে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ইউপি চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা লতিফুর রহমান পলাশকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার শরীরে একাধিক গুলি ও কোপের চিহৃ ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও চেয়ারম্যানের স্বজনেরা জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে লোহাগড়ার দিঘলিয়ার বাড়ি থেকে অফিসের কাজে লোহাগড়া উপজেলায় আসেন ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচন অফিস এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল আরোহী ইউপি চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশকে প্রথমে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়।  
দুর্বৃত্তদের মুখ ঢাকা ছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এ সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গী ইউপি সদস্য ফরিদ আহম্মেদ বুলুর চিৎকারে উপজেলা চত্বরের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে পলাশের মৃত্যুদেহ লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই