নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

  • নড়াইল প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮, ০৫:৫২ পিএম

নড়াইল : জেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশ (৪৮) হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নড়াইল আদালত সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি নড়াইল-২ সংসদ সদস্য শেখ হাফিজুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাঈফ হাফিজুর রহমান খোকন, নিহত পলাশের বড় ভাই জেলা পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, ছোট ভাই মুক্ত রহমান প্রমুখ। বক্তারা আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানান।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে নিহত পলাশের বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু বাদী হয়ে শরীফ মনিরুজ্জামান মনিসহ ১৫ জনের নামে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় প্রধান আসামি জেলা আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিকে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়ালের আদালতে মনিরুজ্জামান মনির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি একদিনের রিমান্ড শেষ হয়। মনিরুজ্জামান মনিকে গ্রেপ্তারের আগেই তার ভাই শরীফ বাকি বিল্লাহকে সন্দেহজনকভাবে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। ১৫ আসামির মধ্যে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলেও অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।

নড়াইলের দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও লোহাগড়া উপজেলা আ. লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লতিফুর রহমান পলাশকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার শরীরে একাধিক গুলি ও কোপের চিহ্ন ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও চেয়ারম্যানের স্বজনরা জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে লোহাগড়ার দিঘলিয়ার বাড়ি থেকে অফিসের কাজে লোহাগড়া উপজেলায় আসেন ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচন অফিস এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল আরোহী ইউপি চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশকে প্রথমে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তদের মুখ ঢাকা ছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এ সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গী ইউপি সদস্য ফরিদ আহম্মেদ বুলুর চিৎকারে উপজেলা চত্বরের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে পলাশের মৃত্যুদেহ লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর