বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ফেস্টুন ভাঙচুর করলো র‌্যাবের সোর্স

  • শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০১৮, ০২:০৯ পিএম

বাগেরহাট: জেলার শরণখোলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবি সম্বলিত একাধিক ফেস্টুন, ব্যানার কুপিয়ে নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র‌্যাব-৬ ’র কথিত সোর্স তরিকুল ইসলাম ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে। 

বুধবার (১৪ মার্চ) দুপুরে শরণখোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবী তুলে ধরেন উপজেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রায়েন্দা বাজারের বাসিন্দা জয়নাল হাওলাদারের ছেলে শাহীন হোসেন হাওলাদার।

লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, উপজেলার বনসংলগ্ন রতিয়া রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা জামায়াত-বিএনপি সমর্থক, নাশকতা মামলার আসামী ব্যবসায়ী আ. আজিজ সরদারের পুত্র র‌্যাব-৬’র কথিত সোর্স পরিচয় দানকারী ও মাদক মামলার আসামী তরিকুল ইসলাম (৩২) ও তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম সরদারসহ স্থানীয় একদল বখাটে যুবক নিয়ে গত ১১ মার্চ সন্ধ্যায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবি সম্বলিত তাঁতীলীগের একাধিক ফেস্টুন, ব্যানার কুপিয়ে নষ্ট করে দেয়। 

এমন খবর পেয়ে উপজেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন হোসেন হাওলাদার ওই এলাকায় গিয়ে তরিকুলের নিকট কারণ জানতে চায়। এ সময় তরিকুল নিজেকে র‌্যাব-৬’র সোর্স পরিচয় দিয়ে তার সাথে খারাপ আচারণ করার পাশাপাশি মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেন। অন্যথায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে র‌্যাবের মাধ্যমে ক্রোসফায়ারের হুমকি দেয়। 

উক্ত ঘটনায় তরিকুলের বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় শাহীন একটি অভিযোগ করে। এতে তরিকুল ক্ষিপ্ত হয়ে র‌্যাব সদস্যদের কাছে শাহিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে। ওই ঘটনায় ১৩ মার্চ র‌্যাব দুটি মাইক্রোবাস যোগে শরণখোলায় এসে শাহীনকে তার বাসা সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকে। এতে তার পরিবার ও স্বজনদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। 

লিখিত বক্তব্যে তাঁতী লীগ নেতা আরো বলেন, তরিকুল ইসলাম সরদারের নেতৃত্বে কতিপয় যুবক সুন্দরবন সংলগ্ন পশ্চিম রাজাপুর ও উত্তর রাজাপুর গ্রামের বহু পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করার পাশাপাশি র‌্যাবের ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পাননা। 

তরিকুল ইয়াবা ট্যাবলেট মামলার আসামী হয়েও গত ৩/৪ বছর ধরে স্থানীয় ৬/৭ যুবককে সাথে নিয়ে র‌্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে বহু পরিবারকে নানা ভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন। 

তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে ডাকাতি, অস্ত্র, জলদস্যু, বনদস্যু সহ নানা মামলায় র‌্যাবের মাধ্যমে ফাঁসিয়ে দেয়ার পাশাপাশি খুন, গুম ও এলাকা থেকে বিতাড়িত করার হুমকি দেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আ. সোবাহান মুন্সী, তাঁতী লীগের সভাপতি জিয়াউল হাসান তালুকদার, সহ-সভাপতি মনির জোমাদ্দার, মহিলা সম্পাদিকা সুরাইয়া আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. হালিম মোল্লা, সেলিম গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হাওলাদার, দপ্তর সম্পাদক কাওসার আহমেদ মধু, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. জাকির হোসেন, তথ্য সম্পাদক মাসুদ রানা প্রমুখ।  

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই