ঝিনাইদহ: জেলায় বৈরি আবহাওয়ার কারণে পান বরজগুলোতে দেখা দিয়েছে ছত্রাক জনিত গোড়া পঁচা ও পাতা পঁচা রোগ। উৎপাদন ভাল না হওয়ায় বাজারে পানের চাহিদা থাকলেও মানের কারণে কমে গেছে পানের দাম। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ঝিনাইদহের পান চাষীরা।
ঝিন্ইাদহের উৎপাদিত পান জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠনো হলেও এ বছর চিত্র একেবারেই ভিন্ন। বৈরি আবহাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে পান চাষীরা। প্রতিকারে সঠিক পরামর্শ না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে চাষীদের।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পান বরজ গুলোতে দেখা দিয়েছে ছত্রাক জনিত গোড়া পঁচা ও পাতা পঁচা রোগ। এ রোগের কারণে পানের পাতা লালচে হয়ে পুড়ে, শুকিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি গাছও নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে বাজারে কমে গেছে পানের সরবরাহ।
সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ গুন। ঝিনাইদহ কৃষি কর্মকর্তা বলেন, কৃষকদের জীবাণুনাশক সার ও ছত্রাক নাশক স্প্রে ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বাজারে পানের দাম ভালো থাকা সত্বেও ঝিনাইদহের পান চাষীদের মুখে হাসি নেই। ছত্রাক জনিত কাণ্ড পঁচা রোগে জেলার অধিকাংশ পানের বরজই আক্রান্ত।
চাষীরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবছর প্রচুর পানের উৎপাদন কমে গেছে। প্রয়োজনীয় উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি, উৎপাদিত পণ্যের উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ার কারণে পান উৎপাদন দিন দিন কমে যাচ্ছে। এতে প্রায় ১০০০ হাজার পান চাষী পরিবারে নেমে এসেছে দুর্দিন। তবে কৃষি বিভাগ চাষীদের প্রণোদনার আশ্বাস দিয়েছেন। পানের রোগ দমন এবং পান চাষে আগ্রহ বাড়াতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে এমনটাই দাবী পান চাষীদের।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই