সেতু আছে সড়ক নেই, দুর্ভোগের শেষ নেই

  • কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০১৮, ০২:৪২ পিএম

কুড়িগ্রাম : জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বারোমাসিয়ার নদীর ওপর নির্মিত আনন্দবাজার সংলগ্ন সেতুর সংযোগ সড়ক গত বন্যায় ভেঙে যাওয়ার আট মাস পেরিয়ে গেলেও নেই কোনো সংস্কারের উদ্যোগ। সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসী পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। সেতুটি দিয়ে ১০ গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ চলাচল করতে পারছে না ।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আনন্দবাজার, চর-গোরকমন্ডল, কলির চর, খোয়েরের বাড়ির চর, চর-খারুয়া, কান্দাপাড়া, ঝাউকুটি, ঝামাকুটি, চর পেঁচাই, বাঘের চর এলাকার লোকদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার জন্য ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালর্ভাট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আনন্দবাজার সংলগ্ন বারোমাসিয়া নদীর ওপর ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়।

এলাকাবাসী জানান, চরাঞ্চলের লোকজন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সেতুটি দিয়ে চলাচল করে আসছিল। এতে করে ১০ কিলোমিটার রাস্তা কমে যেত। ওই এলাকার কেউ অসুস্থ হলে তাকে দ্রুত ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হতো। কিন্তু বন্যায় সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় সেতুটি উপকারে আসছে না। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, বন্যায় রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ার প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস হলেও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুসাব্বের আলী জানান, আনন্দবাজারের এই সেতুটি অনেক চেষ্টায় করা হয়েছে। ইউনিয়নে এখনো প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়ক ভাঙ্গা।  বন্যার পর পরেই প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সবুজ কুমার গুপ্ত বলেন, এবারের বন্যায় সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙেছে। বিষয়টি তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সামনে কাবিখা ও কাবিটা বরাদ্দ আসলে পুন:সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর