বাংলাদেশের খেলা দেখতে লঙ্কাকাণ্ড, এরপর এলো বিদ্যুৎ!

  • লালমনিরহাট প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০১৮, ০৯:২৪ এএম

লালমনিরহাট: সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ফাইনাল খেলা। ইতোমধ্যেই দুই ঘণ্টা খেলা হয়ে গেছে তবুও এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, এটা কী মানা যায়? না, একটা কিছু করতে হবে। অমনি সিদ্ধান্ত বিদ্যুৎ অফিসে যাওয়ার। এরপর মহাসড়ক অবরোধ। রোববার (১৮ মার্চ) শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ওঠা বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ দেখার জন্য এমনটি করেছে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধার ক্রিকেট প্রেমীরা। এ সময় লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের দু’পাশে শতাধিক যানবাহন আটকে থাকে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার (১৮ মার্চ) শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ দেখতে না পারায় বিক্ষুদ্ধ জনতা একটি মিছিল নিয়ে উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসে যায় এবং সেখান ফিরে এসে সড়ক অবরোধ করে।  

এদিন রাত ৮টা থেকে ৯ পর্যন্ত জেলার হাতীবান্ধা এসএস উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড টেকনিক্যাল কলেজ গেটের সামনে এ অবরোধ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ব্যর্থ হয়। পরে এসএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম প্রধান এসে বিদ্যুৎ সরবরাহের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ তুলে নেন। পরে তড়িঘড়ি করে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বিদ্যুৎ চালু করেন কর্তৃপক্ষ। 

অবরোধ চলাকালীন সময়ে বিক্ষুদ্ধ জনতা সাংবাদিকদের জানান, আজ (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ ভারতের ফাইনাল খেলা। অথচ আমাদের এলাকায় সকাল থেকে রাত ১০টা এপর্যন্ত কোন বিদ্যুৎ নেই। আমরা স্বদেশীয় ক্রিকেট ভক্ত। পরে বিদ্যুতের নিশ্চয়তা পেলে অবরোধ তুলে নেই। 

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী এটিএম রফিকুল ইসলাম জানান, হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইনের উন্নয়ন কাজের জন্য সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা অবদি বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। পরে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে গেলে ১১ কেভি লাইনে হাতীবান্ধা ফিডারে সমস্যা হয়। ফলে হাতীবান্ধা-লালমনিরহাট ৩৩ কেভি লাইনের কালীগঞ্জ উপজেলার হাজীর স্কুল এলাকায় জাম্পার খুলে যায়। পরে সেটা মেরামত করার পর ৯.৫০ মিনিটে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই