নাটোর : জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার শিধুলী গ্রামের হাসমত আলীর স্ত্রী আতিকা খাতুন নেভি (৩৩) পরকীয়া প্রেমের টানে ১৫ বছরের সংসার ও ত্রিশ দিনের বাচ্চাকে রেখে প্রতিবেশি মিজানুর রহমান (২২) নামের যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ই মার্চ। উম্মে হাবিবা (৭) নামের তার আরেকটি মেয়েও রয়েছে। গত ১০ দিন ধরে তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শিধুলী গ্রামের মৃত নরশেদ আলীর ছেলে হাসমত আলীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চরকাদহ কান্দিপাড়া গ্রামের আফজাল ফকিরের মেয়ে আতিকা খাতুনের প্রায় ১৫ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। প্রতিবেশি রবিউল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমানের সঙ্গে আতিকা খাতুন নেভির পরিচয় হয়। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত তাদের মাঝে ফোনে কথা চলে। এক সময়ে তাদের মাঝে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর এক পর্যায়ে শুক্রবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যার পর শিশু বাচ্চাকে রেখে প্রেমিক মিজানুরের সঙ্গে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আতিকার স্বামী হাসমত আলী গুরুদাসপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। হাসমত অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও ওই ছেলেকে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যেমে মৌখিকভাবে নিষেধ করা হয়েছিল। আমার সংসার থেকে নগদ এক লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণ নিয়ে পালিয়েছে। ত্রিশ দিনের বাচ্চাকে আমি এখন কিভাবে রাখবো? সব সময়ই কান্না-কাটি করছে। শিশু বাচ্চাকে নিয়ে খুবই বিপদে আছি।
এ ব্যাপারে মিজানুরের ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে মিজানুরের বাবা রবিউল জানান, তার ছেলে তার কাছ থেকেও প্রাইভেট পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলে ৫২ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। তার ছেলেকে খুঁজে বের করে এলাকায় মিমাংসা করা হবে বলে তিনি জানান। এই ঘটনায় এলাকার যুবসমাজ কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
ধারাবারিষা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন জানান, তাদের আত্মীয়-স্বজন আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এটা বড়ই দুঃখজনক ঘটনা। তাদের দু’জনকেই খুঁজে বের করার কথা বলা হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার দাস বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর