যে খবরে প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিকের আত্মহত্যা!

  • বরিশাল ব্যুরো | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০১৮, ০৭:৪৮ পিএম
প্রতীকী ছবি

বরিশাল: দীর্ঘদিন ধরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি পারিবারিকভাবে বিয়ে কথা হয়েছিল তাদের। হঠাৎ মেয়ের বাড়ি থেকে খবর আসে এই বিয়ে হচ্ছে না। পরে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার খবরে প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছে মো. আসলাম কবিরাজ (২২) নামের ওই প্রেমিক!

মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) আসলাম বিষপান করলে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ফেলে রেখে চলে যায় মেয়ের পরিবারের সদস্যরা। রাতে হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওই যুবক।

আসলাম নগরীর ৩ নং ওয়ার্ডের মতাসার এলাকার জামাল কবিরাজের ছেলে। আর প্রেমিকা শারমিন আক্তার সদর উপজেলার করাপুর পপুলার স্কুলের সম্মুখের শহিদুল আলমের মেয়ে।

আসলামের মামা মো. জাহিদ হোসেন বলেন, তার ভাগ্নে ঢাকায় একটি কারখানায় চাকরি করত। দীর্ঘদিন ধরে আসলামের সঙ্গে শারমিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের কথা চলছিল। শারমিন নগরীর হাতেম আলী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্রী। মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) হঠাৎ বিয়ে হবে না- এমন খবর পাঠায় মেয়ের বাড়ি থেকে।

এ খবর পেয়ে তার ভাগ্নে আসলাম মেয়ের বাড়ি কড়াপুর পপুলার স্কুল এলাকায় যায়। সেখানে মেয়ের বাড়িতে বিষ পান করে। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় শারমিনের স্বজনরা।

আসলামের বাবা জামাল কবিরাজ জানান, তার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে দুই পরিবার তা মেনে নেয়ায় আগামি মাসে বিয়ে হওয়ার কথা চলছিল। হঠাৎ মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) দুপুরে তার মোবাইল ফোনে মেয়ে শারমিন তাকে ফোন করে তাদের বাড়িতে না আসার কথা জানায়। বিষয়টি আসলাম শুনে বিকেলে ওই বাড়িতে যায়।

তিনি আরো জানান, সন্ধ্যায় শারমিন তাকে ফোন দিয়ে জানায় যে তার ছেলে বিষ পান করেছে। একই কথা জানিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে যেতে বলেন মেয়ের মামা আব্দুল্লাহ। হাসপাতালে গিয়ে তিনি তার ছেলেকে মৃত অবস্থায় পান। এ ঘটনায় তিনি ওই পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে বিমান বন্দর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন আসলামের সঙ্গে শারমিনের সম্পর্ক ছিল। সেটি বিয়ের দিকে গড়াচ্ছিল। মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) আসলাম মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছে। লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম