যুবলীগ নেতার সমকামীর ভিডিও নিয়ে তোলপাড়!

  • রাজশাহী বুরো | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০১৮, ০৯:৩৭ পিএম

রাজশাহী: রাজশাহীর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে দরপত্র জমাদানে বাধা, টেন্ডার বাজি, ঠিকাদারদের অস্ত্রের মুখে জোর করে তুলে নিয়ে সিডিউল কেড়ে নেয়ার পর এবার রাজশাহী মহানগর যুবলীগের যুগ্ন-সম্পাদক ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমনের বিকৃত যৌনাচার নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে। বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) রাতে এই নেতা একজন যুবকের সঙ্গে যৌনচারে লিপ্ত হওয়ার ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয় তোলপাড়।

এরপর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কয়েক লাখ টাকা এরই মধ্যে ব্যয়ও করেছেন তিনি। পরে বিপুল অংকের টাকায় রফা-দফা হয়ে ফেসবুক থেকে সেই দৃশ্য সরিয়েও নেয়া হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে মহানগর যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

একটি সূত্র জানায়, পর্নো ছবি ছেড়ে উঠতি বয়সের যুবকদের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারই ছিল এই যুবলীগ নেতার নেশা। বিকৃত যৌনাচারে অভিযুক্ত এই যুবলীগ নেতা প্রায় একই কাণ্ডে জড়িয়ে পড়তেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে তার সঙ্গে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত দৃশ্য ভিডিও করতে ফাঁদ পাতে একটি চক্র। সেই ফাঁদেই ধরা পড়েন ওই নেতা। তবে কবে নাগাদ ভিডিওটি করা হয়েছিল সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি তারা।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একাধিক নেতারা বলেন, যুবলীগ, আওয়ামী লীগসহ এর সকল অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনকে আগলে রাখে। এমন একটি শক্তিশালী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদেরকে হতে হবে মার্জিত ও বিচক্ষণ। চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসী ও মাদকসহ জনগণ ও দেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কাজের সঙ্গে জড়িতদের সংগঠনের সদস্য করা যাবে না।

মহানগর যুবলীগের যুগ্ন-সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমনের এমন বিকৃত যৌনাচার আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। দলের এমন একটি দায়িত্বে থাকা নেতার এমন কাজ কোনোভাবেই দল মেনে নেবে না। এমন ঘৃণিত ব্যক্তিদের নিয়ে দল ভারি করার দরকার নাই। যাদের কারণে দলের নাম বদনাম হয়, মানুষ কষ্ট পায়, ভয় পায় তাদেরকে আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী দলে কোনো প্রয়োজন নাই বলে জানান তারা। সূত্র: দৈনিক উপচার

এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের যুগ্ন-সম্পাদক ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলছি বলে ফোন কেটে দেন। এর পর থেকে তৌহিদুল হক সুমন এই প্রতিবেদনটি যেন প্রকাশ না পায় এ জন্য বিভিন্ন সাংবাদিকদেরকে দিয়ে প্রতিবেদক নুরে ইসলাম মিলনকে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।

এ বিষয়ে জানতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নুরুজ্জামান টিটো বলেন, মহানগর যুবলীগের যুগ্ন-সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমনের বিকৃত যৌনাচারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে ছেলেটির সঙ্গে যৌনাচারে লিপ্ত ছিল, সে ছেলেটি আমার ১৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা না।

রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি মোকলেসুর রহমান মিলন বলেন, আমরা রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দেয়া দিক নির্দেশনা মেন চলি। বিষয়টি আপনাদের মতো সাংবাদিকদের মাধ্যামে জানতে পেরেছি। তবে বিষয়টি আমরা পরিস্কার না, যে ভিডিওটি আপনাদের কাছে আছে সেটি সুমনেরই ভিডিও। তথ্য-প্রযুক্তির কিছু বিষয় আছে আপনারাও যাচাই বাছাই করুন আমরাও করছি। এর পরেও যদি কোনোভাবে তৌহিদুল হক সুমনের এমন বিকৃত যৌনাচারে লিপ্তের প্রমাণ মেলে তার বিরুদ্ধে সাংগাঠনিক ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি ।

এ বিষয়ে জানতে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি ।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম