গাজীপুর সিটি নির্বাচন

২৮৬ কাউন্সিলর প্রার্থীর ১১৪ জনই মামলার আসামি

  • গাজীপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০১৮, ০১:১৯ পিএম

গাজীপুর : গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (জিসিসি) ২৮৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১১৪ জনই মামলার আসামি। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের প্রার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া সিটির পাঁচটি ওয়ার্ডের ২০ প্রার্থীর কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই এবং তিনটি ওয়ার্ডের প্রত্যেক প্রার্থীর বিরুদ্ধেই মামলা রয়েছে।

হলফনামা থেকে জানা গেছে, ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছয় প্রার্থীর মধ্যে তিনজন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের আট প্রার্থীর পাঁচজন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর দুইজন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর দুইজন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর একজন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর একজন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাত প্রার্থীর তিনজন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর একজন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রার্থীর দুইজন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর একজন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর একজন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রার্থীর চারজন, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ছয় প্রার্থীর একজন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রার্থীর একজন, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর একজন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে দুই প্রার্থীর একজন, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ছয় প্রার্থীর দুইজন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ছয় প্রার্থীর তিনজন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রার্থীর তিনজন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর সবাই, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে আট প্রার্থীর ছয়জন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাত প্রার্থীর দুইজন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ১২ প্রার্থীর পাঁচজন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর দুইজন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর একজন, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে আট প্রার্থীর চারজন, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর সবাই, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর তিনজন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে সাত প্রার্থীর একজন, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ছয় প্রার্থীর দুইজন, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর একজন, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ছয় প্রার্থীর দুইজন, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর দুইজন, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর সবাই, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর দুইজন, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাত প্রার্থীর চারজন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর দুইজন, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ছয় প্রার্থীর একজন, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর দুইজন, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রার্থীর একজন, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর একজন, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রার্থীর দুইজন, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর দুইজন, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১১ প্রার্থীর চারজন, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর একজন, ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে ছয় প্রার্থীর দুইজন, ৫২ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রার্থীর দুইজন, ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে আট প্রার্থীর দুইজন, ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রাথীর তিনজন, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রার্থীর দুইজন, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রার্থীর দুইজন এবং ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ছয় প্রার্থীর একজনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

হলফনামায় দেখা গেছে, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচ প্রার্থী, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছয় প্রার্থী, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের তিন প্রার্থী, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের চার প্রার্থী এবং ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুই প্রার্থীর কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। অপরদিকে ২০, ২৮ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের সব প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

গাজীপুর আদালতের সাবেক এপিপি মো. আসাদুল্লাহ বাদল বলেন, ‘যাদের নামে কোনো মামলা নেই তারা যদি তুলনামূলক স্বচ্ছ প্রকৃতির লোক হন, তবে তারা নির্বাচিত হলে ওই এলাকায় অপরাধ প্রবণতা কিছুটা কম থাকবে। আর যেখানে সব প্রার্থীর বিরুদ্ধেই মামলা আছে, সেখানে তুলনামূলক স্বচ্ছ বা অপরাধ প্রবণতা নেই এমন লোক হয়তো নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাননি। এতে ওই এলাকাগুলোতে যারাই নির্বাচিত হোক তাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা থাকবে ও দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।’

তবে নিজেদের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল বলে দাবি করেছেন গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী মো. ফয়সাল আহমেদ সরকার। একই দাবি করেন সদর থানা বিএনপির দফতর সম্পাদক এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী তানভীর আহম্মেদ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই