কালীগঞ্জে বৃদ্ধা হত্যা

মিলা দাস হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

  • ঝিনাইদহ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০১৮, ০৩:২০ পিএম

ঝিনাইদহ : কালীগঞ্জে বৃদ্ধা মিলা দাস হত্যা মামলার প্রধান আসামি আনিসুর রহমান সর্দারকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩০ এপ্রিল) ভোরে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আনিসুর রহমান উপজেলার চাপালি গ্রামের বদর উদ্দিন বদু সর্দারের ছেলে।

গতকাল পুলিশ ৬ মহিলাসহ সুরত আলী নামে এক জন কে আটক করে। আটক সুরত আলী কালীগঞ্জ শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ যে ৬ মহিলা কে আটক করে থানায় এনে জিঙ্গাসাবাদ করে এবং পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের সবার বাড়ি হত্যাকান্ড ঘটেছিল তার আশেপাশে। এখানে উল্লেখ্য এলাকাবাসি বলছে শিবনগর দাসপাড়া এলাকার মাঠে সুরোত আলী ও চাপালি গ্রামের আনিচুর রহমান বিভিন্ন জমিতে চাষাবাদ করতো। হত্যার শিকার মিলা দাস প্রতিদিন নদীতে গোসল করতে গিয়ে ছাগল ও গরুর জন্য গাছের পাতা ও ঘাস কাটতো।

শনিবার বিকালে সে চিত্র, নদীতে গোসল করতে গেলে গাছের পাতা কেটে রেখে নদীতে গোসল করে। বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে শিবনগর গ্রামের সুরোত আলী ও চাপালি গ্রামের আনিচুর রহমান গাছের পাতা দেখে মিলা দাস কে বকা দেয় ও উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।পুলিশ ধারনা করছে সুরোত আলীর উপস্থিতে আনিচুর রহমানের হাতে থাকা দা দিয়ে কোপ দেয় মিলা দাসের গলায়।

এ সময় তারা দুই জন নদী পার হয়ে চাপালির দিকে চলে যায়। আনিচুর রহমান চাপালি গ্রামের ছেলে এবং শিবনগর চিত্র নদীর পাশে কিছু জমিতে মেহগনি গাছ, ধনিচা গাছ রোপন করে। আনিচুরের হাতে সব সময় একটি বড় লোহার দা থাকতো। আনিচুর রহমান মিলা দাস কে কুপিয়ে দা টি ঘটনাস্থলেই ফেলে পালায়। পুলিশ সে দা টি উদ্ধার করেছে। এ মামলার তদন্ত কারি অফিসার অমিত কুমার দাস। কালীগঞ্জ থানার ওসি বলছেন তারা মিলা হত্যার রহস্য অনেকটা জানতে পেরেছে। তদন্তের স্বার্থে বলতে পারছেন না।

অবশ্য এজাহারে উল্লেখিত আসামি আনিচুর রহমান শনিবার বিকাল থেকে পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে আটকের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ যে দা টি উদ্ধার করেছে সেটি চাপালি গ্রামের আনিচুর রহমান হাতে করে নিয়ে বেড়াতো। ঐ দা দিয়ে আনিচুর মাঠে রোপনকৃত বিভিন্ন গাছ কাটতো ও জঙ্গল পরিস্কার করতো। দা উদ্ধারের সময় রক্ত লেগেছিল।

শনিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন শিবনগর দাসপাড়া নদীর ধারে মিলা দাস কে জবাই করে। নিহত মিলা ওই গ্রামের মল্লিক দাসের স্ত্রী। রোববার সকালে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা পূজাউদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক কনক কান্তি দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, স্থানীয় ৬ মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের বাড়িতে পৌছে দিয়েছি। তবে সন্দেহভাজন শিবনগর গ্রামের সুরোত আলীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদি হয়ে রোববার সকালে আনিচুর রহমানের নাম উল্লেখ করে আঙ্গাত ৮/১০ আসামী করে মামলা করা হয়েছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে ও বিকাল সাড়ে ৪ টারদিকে মিলা দাস কে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যার ঘটনাটি কালীগঞ্জ এলাকায় বেশ চাঙ্কল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।

সোনালীনিউজ/আরআইবি