হয় মাদক, না হয় আমরা থাকব

  • খুলনা ব্যুরো | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৪, ২০১৮, ১১:১৯ পিএম

ঢাকা : খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন- খুলনায় হয় মাদক থাকবে, না হয় পুলিশ থাকবে, না হয় আমরা থাকব। রোববার (৩ জুন) খুলনা শহরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন। আর এ কারণেই খুলনা শহরে মাদক নির্মূল করা হবে।

খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন আয়োজিত ‘মাদকের ভয়াবহতা থেকে প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ বিষয়ক ওই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সব ধরনের কাজ করা হবে।  

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে থাকা খালেক অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এটি যেকোনো পন্থায় বন্ধ করতে হবে। খুলনার পুলিশ সক্রিয় হলে অল্পদিনের মধ্যে মাদক নির্মূল হবে। পুলিশের অবর্তমানে মাদক বিক্রি হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘আমাদের সমাজকে সুন্দর অবস্থানে নিতে হলে কিছু অপ্রিয় কাজও করতে হয়। আর এজন্যই মাদক, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া হবে। শপথ গ্রহণের পর মাদকের বিরুদ্ধে তিনি আরো কঠোর পদক্ষেপ নেবেন বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন নবনির্বাচিত এই মেয়র।

অনুষ্ঠানে কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, পুলিশের কোনো সদস্য যদি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকে; তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল ফোন বন্ধ করতে হবে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। তাই এটি সম্পর্কে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।  

রকিবুল ইসলাম আরো বলেন, গভীর রাতে প্রত্যেকটি চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে। কারণ চায়ের দোকানে বসে মাদক বিকিকিনি হয়। গতকাল রোববার থেকেই অভিযান পরিচালনার প্রতিশ্র“তি দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন তিনি।  

ডা. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মলি­ক সুধাংশু, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুণ্ডু, পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা পরিমল কুমার দাস প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই