মাদারীপুর: ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দুই লেন থেকে ৬ লেনে উন্নয়ন কাজ চলায় আসন্ন ঈদ-উল-আজহায় সড়ক পথে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের বাড়ি ফেরায় দুর্ভোগের আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি অ্যাপ্রোচ সড়কগুলো পরিণত হয়েছে খানাখন্দে।
এতে ঈদে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সুধীজনেরা। অবশ্য প্রশাসনের দাবি, পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর তারা।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার মহাসড়ক ৬ হাজার ৭শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ লেন থেকে ৬ লেনের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।
মহাসড়কের উন্নয়ন কাজে বিপুল সংখ্যক গাড়িতে মালামাল লোড-আনলোড করায় এবারের ঈদে যাত্রীদের ভোগান্তি ও দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কের সেতু ও কালভার্টগুলো ভেঙে অ্যাপ্রোচ সড়ক তৈরি করায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।
পাশাপাশি অ্যাপ্রোচ সড়কগুলোতে বড় বড় গর্ত হয়ে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। এতে ভোগান্তি বাড়ছে যাত্রী, চালক ও পথচারীদের।
এদিকে সুধীজনেরা মনে করেন, প্রশাসন এখনই ব্যবস্থা না নিলে ঈদে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
মাদারীপুরের সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সদস্য রাজন মাহমুদ বলেন, ঈদের গাড়ির চাপ অনেক বাড়বে। তাই আমাদের দাবি দ্রুত এই সড়ক যাত্রী চলাচলের উপযোগী করা হোক।
অবশ্য সড়ক উন্নয়নে সাময়িক ভোগান্তি হলেও শিবচর উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ঈদে যাত্রী ভোগান্তি কমাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
শিবচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান আহম্মেদ বলেন, বাইপাস রোডগুলোতে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। তবে, একটি লেনের কাজ হয়ে গেছে এবং সেখান দিয়ে গাড়ি চলছে।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে প্রতিদিন ৫০ হাজারেরও বেশি ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। ঢাকার সাথে যোগাযোগে এই মহাসড়ক দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ যাতায়াত করেন।
সোনালীনিউজ/জেডআরসি/আকন