ধর্ষণের সময় যুবতীর চিৎকারে ধরা পড়ে আ.লীগ নেতা, কিন্তু...

  • বগুড়া প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০১৮, ০৩:৩৯ পিএম

বগুড়া:  শ্রমিক দম্পতি জীবিকার তাগিদে সকাল থেকেই বাড়ি ছেড়ে শহর এলাকায় ছিলেন। এ সুযোগে ওই দম্পতির যুবতী মেয়েকে ধর্ষণ করে আল হেলাল। মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশি লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে আল হেলালকে হাতেনাতে আটক করে। ২০১৭ সালের ৪ জুন শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমকুন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

আল হেলাল উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পিরহাটী গ্রামের মৃত: আবু বক্কার সিদ্দিকীর ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।  

মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব পরিচয়ের ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে দড়িমকুন্দ গ্রামে শ্রমিক দম্পতির বাড়িতে যান আল হেলাল। শ্রমিক দম্পতির যুবতী মেয়েকে ঘরের ভেতর একা পেয়ে ধর্ষণ করে আল হেলাল। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশি লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে আল হেলালকে হাতেনাতে আটক করে। এ ঘটনায় শেরপুর থানায় করা মেয়েটির অভিযোগ আমলে নেয়নি তৎকালীন ওসি খান মো. এরফান। এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজনের সহযোগীতায় আল হেলাল ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে সটকে পড়ে। 

এ ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ৭জুন বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আল হেলালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে (মামলা নং ১০৯)। ওই মামলায় আল হেলালের বিরুদ্ধে আদালত থেকে ২৫ জুলাই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। 

এদিকে শেরপুর থানার ওসি খান মো. এরফান বদলী হয়ে প্রায় ৬ মাস আগে ধুনট থানায় যোগদান করেন। এ অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধুনট থানার ওসি মথুরাপুর বাজার এলাকা থেকে আল হেলালকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাত ১০টার দিকে আল হেলালকে থানা হাজত থেকে ছেড়ে দেন ওসি। 

আল হেলাল বলেন, বাদীর সাথে মামলাটি মিমাংসা করে আদালতে আপোষনামা জমা দেওয়া হয়েছে। তারপরও কী কারণে আমার নামে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তা বলতে পারছি না। তবে থানার ওসি আপোস মিমাংসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।   
     
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মো. এরফান বলেন, আদালত থেকে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় আল হেলালের গ্রামের নাম শ্যামগাতি লেখা রয়েছে। কিন্ত আল হেলাল একই এলাকার পিরহাটী গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামের নাম ভুলের কারণে তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সোনালীনিউজ/জেএ