প্রেমে রাজি না হওয়ায় বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ, চিৎকারে..

  • শেরপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৮, ০৯:৫৪ পিএম

শেরপুর : শেরপুর সদর উপজেলায় তিন বন্ধু মিলে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে শেরপুর সদর উপজেলার নিভৃতপল্লী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে আহত অবস্থায় সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষকরা সবাই সদর উপজেলার রৌহা কলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

তারা হলো- রৌহা কলাপাড়া গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২০), বাচ্চু মিয়ার ছেলে মাসুদ মিয়া (১৯) ও আয়নাল হকের ছেলে শিপন মিয়া (২০)। তারা সবাই একে-অপরের বন্ধু।

সোমবার দুপুরে স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে বলে জানিয়েছেন সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার রৌহা কলাপাড়া গ্রামের শাকিল, মাসুদ ও শিপন প্রায়ই স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করত। এর মধ্যে একদিন শাকিল ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ছাত্রী তা প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষেপে যায় শাকিল।

রোববার রাত ৮টার দিকে স্কুলছাত্রী প্রতিবেশী এক বান্ধবীর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে পথরোধ করে শাকিল, মাসুদ ও শিপন। এ সময় ছাত্রীর মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে পাশের একটি বাঁশঝাড়ের ভেতর নিয়ে যায় তারা। সেখানে পর্যায়ক্রমে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তিন বন্ধু।

এতে ছাত্রীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। একপর্যায়ে ছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে তিন ধর্ষক পালিয়ে যায়। রাতে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার পর সোমবার সকালে ছাত্রীকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। ঘটনার পর ধর্ষকরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই