বাঁশের সাঁকোয় ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত

  • নীলফামারী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮, ০৪:৪৯ পিএম
ছবি: সোনালীনিউজ

নীলফামারী : জেলার ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চেকাডারা নদীর বাবুর বান নামক স্থানে একটি ব্রিজের অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীকে নিয়মিত যাতায়াত করতে হচ্ছে।

ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বাবুর বান, নিমোজখানা ও শিবগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দাদের উপজেলা সদরের যাতায়াতের একমাত্র সহজ পথ হচ্ছে এই নদী পথটি। কিন্তু এখানে ব্রিজ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের। ওই গ্রামগুলোর স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরও প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। সাঁকোটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেকে পানিতে পড়ে যাওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া গেল বছর সাঁকোটি বন্যার পানিতে ডুবে যায়। সেই সময় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় ছাত্রছাত্রীসহ এলাকাবাসীকে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি করে আসলেও কেউ কোনো পদক্ষেপ নেননি।

নিমোজখানা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মহাদেব, কাজল চন্দ্র, তুলসি রানী জানায়, ঝুঁকি নিয়ে তাদের নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। বর্ষায় বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে গেলে প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে কলেজে যেতে হয় বলে তারা জানান।

নদীর তীরে অবস্থিত শিবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুমি আকতার, মাধবী রানী, মোনা সরকার জানায়, আমরা বিদ্যালয় শুরু ও ছুটির সময় কখনো কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যায় কিনা এ নিয়ে দুঃচিন্তায় থাকি। বর্তমানে বাঁশের সাঁকোটি নরবরে হয়ে যাওয়ায় নদীর ওপারের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে বলে তারা জানায়।

গোপাল চন্দ্র রায়, বিকাশ চন্দ্র রায়, হরিহর চন্দ্র রায়, পরিমল চন্দ্র রায়, বিষ্ণু চক্রবর্তীসহ অনেক এলাকাবাসী জানান, নদীতে ব্রিজ না থাকার কারণে গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য কোনো গাড়ি ঢুকতে না পারায় তাদের চরম সমস্যায় পড়তে হয়।

বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার আমাকে নদীর ওপরে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের ডোমার উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রউফ জানান, চেকাডারা নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য আমরা ইতিমধ্যে স্থানীয় এমপির সুপারিশ নিয়ে ঊর্ধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেছি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর