বেয়াই বাড়ি বেড়াতে এসে খুন

  • আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০১৮, ০৫:২০ পিএম
প্রতীকী ছবি

বরগুনা : আমতলীর দক্ষিণ আমতলী গ্রামের সৌদি প্রবাসী বেয়াই নজরুল ইসলাম খানের বাড়িতে বেড়াতে এসে খুন হলেন কলাপাড়া উপজেলার চালিতা বুনিয়া গ্রামের চম্পাপুর ইউনিয়নের মৃত চান মিয়া হাওলাদারের ছেলে আবুল হোসেন হাওলাদার (৬০)। সোমবার (৮ অক্টোবর) গভীর রাতে বিল্ডিংয়ের ভেতরে এ খুনের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের চালিতা বুনিয়া গ্রামের মৃত চানমিয়ার ছেলে মো. আবুল হোসেন হাওলাদার তার স্ত্রী নার্গিস বেগমকে সঙ্গে নিয়ে আমতলী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আমতলী গ্রামের সৌদি প্রবাসী নজরুল ইসলাম খানের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতে খাওয়া শেষে নিহত আবুল হাওলাদার ঘরের সামনের বারান্দায় এবং অন্যান্যরা ঘরের ভেতর ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ৩টার সময় আবুল হাওলাদারের ডাক চিৎকার শুনে ঘরের ভেতরের লোকজন জেগে উঠে দেখেন ৩-৪ জনের একদল দুর্বৃত্তরা আবুল হাওলাদারকে ধারালো ছুরি দিয়ে পেটে এবং বুকে আঘাত করেন।

এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই আবুল হোসেন হাওলাদার রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরেন। এ সময় সৌদি প্রবাসী নজরুলের মেয়ে জেসমিন (২৪) ডাক চিৎকার দিলে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে তাকেও এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। স্বজন এবং গ্রামবাসীরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আবুল হোসেন হাওলাদারকে অজ্ঞান অবস্থায় ও জেসমিনকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আহতদের অবস্থা সংকট জনক হওয়ায় আবুল হাওলাদারকে বরিশাল শেবাচিম ও জেসমিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আবুল হাওলাদারকে বরিশাল নেওয়ার পথে লেবুখালী ফেরীঘাট পৌঁছার আগেই রাত ৪টার সময় মারা যান। সৌদি প্রাবাসী নজরুল ইসলাম খানের স্ত্রী আবুল হাওলাদারের বেয়াইন রেখা বেগম জানান, রাত আনুমানিক ৩টার সময় ঘরের দরজা খোলার শব্দ পেয়ে উঠে এ ঘটনা দেখতে পাই। ধারণা করা হচ্ছে বাহির থেকে পরিচিতি কেউ ডাক দেওয়ার পর বেয়াই আবুল হাওলাদার দরজা খুলে দিয়েছে। স্ত্রী নার্গিস বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, আমি ঘুমে ছিলাম ডাকাডাকির শব্দ পেয়ে জেগে দেখি এই দুর্ঘটনা। তিনি আরো জানান, এলাকায় আমার স্বামীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে তারা এ ঘটনা ঘটাতে পারে।

আমতলী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মিঠুন সরকার জানান, নিহত আবুল হোসেন হাওলাদারের হাতে বুকে এবং পেটে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং জেসমিনের হাতে এবং শরীরেও ৪-৫ টি ছুরির আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। আমতলী থানর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন মিলন জানান, লাশ উদ্ধার করে মঙ্গবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর