হলতা নদীতে নির্মিত সেতু, বাতি ছাড়াই চলছে যানবাহন!

  • ঝালকাঠি প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০১৮, ০৬:১৮ পিএম
ছবি: সোনালীনিউজ

ঝালকাঠি : জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার হলতা নদীর ওপর নির্মিত দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত আমুয়া ব্রিজটি ইজারা দেয়া হলো  বৈদ্যুতিক বাতি ও টোলঘর নির্মাণ ছাড়াই। ফলে রাতের অন্ধকারে যেকোনো সময়ই ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

ঝালকাঠি সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১১৭ মিটারের এই ব্রিজটি গত ৮ আগস্ট ২০১৮ তারিখ যান চলাচল ও সর্ব সাধারণের জন্য ছেড়ে দেয়া হয়। ইজারাদার আইয়ুব আলী জমাদ্দার ভ্যাটসহ প্রায় ৮৮ লাখ টাকায় তিন বছরের জন্য ব্রিজের টোল আদায়ের ইজারা নেয়। ঝালকাঠি হয়ে এ ব্রিজ পার হয়ে প্রতিদিন পাথরঘাটা, বরগুনা, বামনা, মঠবাড়িয়া, কুয়াকাটা রুটে শত শত যান চলাচল করছে।

এ প্রসঙ্গে ব্রিজের টোল আদায়ের ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন জানান, রাতে আমাদের টোল আদায়ে সমস্যা হচ্ছে। ব্রিজের উভয় দিক থেকে আসা গাড়ি দেখতে না পারায় পূর্ব প্রস্তুতি নিতে পারছি না। তাছাড়া বাস, ট্রাক, মাইক্রো না কি গাড়ি আসছে হেড লাইটের কারণে তা দেখা যাচ্ছে না। পুরো ব্রিজটি অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকায় রাতে ট্রলার টেম্পুসহ ছোটখাট যানবাহন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। এসব যানবাহনের কোনো লাইট না থাকায় যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে টোল ইজারাদার আইয়ুব আলী জমাদ্দার জানান, রাতের অন্ধকারে ব্রিজটির দুই মাথায় এবং আমাদের টোলঘরের কাছে কোনো কিছুই দেখা যায় না। তাই বাধ্য হয়েই দক্ষিণপাড়ে আমরা এলইডি লাইট লাগিয়ে দায়সারাভাবে কাজ করছি। তাছাড়া আমাদের টোলঘর নির্মাণ করে না দেয়ায় আমাদের নিরাপত্তা নেই। এ সমস্যা সমাধানে সরকারের সহযোগিতা কামনা করা ছাড়া কি করার আছে আমাদের।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন জানান, এ কাজের টেন্ডারে ব্রিজের টোলঘর নির্মাণ এবং লাইট স্থাপনের কাজ ছিল না। আপাতত এ বিষয়ে সড়ক বিভাগের পদক্ষেপ নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর